দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২৬ নভেম্বর : বৃহস্পতিবার ডিআইএফআই রাজ্য কমিটির উদ্যোগে “ইনসাফ যাত্রা” হয় ভাতারের বলগোনা বাজারে । তারই পালটা শনিবার বিকেলে ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর নেতৃত্বে মিছিল হয়েছিল ভাতার বাজারে । মিছিল শেষে বলেন, ‘এবার আর বদল নয়, বদলা চাই । আমাদের নেত্রী বলে দিয়েছেন,ওরা আমাদের চারজনকে ঢুকিয়েছে,আমরা আটজনকে ঢোকাবো ।’ এদিকে ভাতারের বিধায়কের ‘বদলার’ হুমকির জেরে শোড়গোল পড়ে যায় জেলার রাজনৈতিক মহলে । তার জের কাটতে না কাটতেই ভাতারের এক তৃণমূল নেতা ‘জ্বালিয়ে দেওয়া’র হুমকি দিয়েছেন । আর ওই নেতা হলেন ভাতাড় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাসুদেব যশ ।
আজ রবিবার দুপুরে ভাতার থানার সাহেবগঞ্জে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের একটা সভা ছিল । ওই সভায় বক্তব্য রাখার সময় বাসুদেব যশ বলেন,’আমি তিন তিনবার এই সাহেবগঞ্জের বুকে মার খেয়েছি, কোনরকমে প্রাণে বেঁচেছি । সহ্যের একটা সীমা আছে…. অনেক সহ্য করেছি । আমরা জানি কিভাবে তা ঠাণ্ডা করতে হয় । আমরা শান্তি চাই । তাই বলে কেউ অশান্তি করলে তার ওষুধ আমাদের জানা আছে । আমরা সেই ওষুধ প্রয়োগ করব ।’ এরপর তিনি বলেন,’একটা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী যদি আক্রান্ত হয়,তাহলে একঘন্টার মধ্যে সেখানে জ্বালিয়ে দেবো ।’
বাসুদেববাবু কোনো দলের নাম না করে বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এই সাহেবগঞ্জ অঞ্চলে ও ভাতাড় ব্লকের বেশ কয়েকটি জায়গায় উত্তপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে । এটা আমরা কিছুতেই বরদাস্ত করব না ।’ প্রসঙ্গত,২০১১ সালের আগে ভাতারের পশ্চিম অঞ্চলের সাহেবগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি ছিল । ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের সেই ঘাঁটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় রয়েছে সিপিএম । অনুমান করা হচ্ছে যে তৃণমূলের ব্লক সভাপতির এই ‘হুঁশিয়ারি’ সিপিএমকে উদ্দেশ্য করেই ।
এর আগে তৃণমূলের চারজন এমলএ- কে জেলে ভরার পাল্টা হিসাবে বিরোধীদের ৮ জনকে জেলে ভরার হুমকি দিয়ে রেখেছেন তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি । কিন্তু তৃণমূল আচমকা কেন ‘বদলার’ রাজনীতিকে সামনে নিয়ে আসছে? এনিয়ে প্রশ্ন উঠছে । এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার সিপিএমের সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন,’আসলে তৃণমূল ভয় পেয়ে গেছে। তাই পাগলের প্রলাপ বকছে ।’ তাঁর দাবি,’সব জায়গায় ইনসাফ যাত্রায় প্রচুর মানুষ অংশ নিচ্ছেন । তাই ভিড় দেখে তৃণমূল নেতারা ভয় পেয়ে এসব কথা বলছেন ।’।