এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,৩০ মে : ‘অপারেশন সিঁদুরে’ নৌবাহিনী সক্রিয় হলেই পাকিস্তানকে চার টুকরো করে দেওয়া যেত’ – দেশের প্রথম দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত পরিদর্শনে গিয়ে নৌবাহিনীর শক্তি নিয়ে এমনই হুঙ্কার দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ভারতীয় নৌবাহিনীর পরাক্রমে দুই টুকরো হয়েছিল পাকিস্তান । এবারও ভারতের নৌবাহিনী সরাসরি সংঘাতে নামলে পাকিস্তান আরও টুকরো টুকরো হত।
আজ শুক্রবার আরব সাগরে মোতায়েন আইএনএস বিক্রান্তে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও সেনাদের সঙ্গে দেখা করেন রাজনাথ।তিনি সেনাদেরকে উৎসাহিত করেছেন এবং অভিযানের সাফল্য নিয়ে আলোচনা করেছেন। রণতরীর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন তিনি। প্রতিপক্ষকে রুখতে তিনি ভারতীয় নৌসেনাদের দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন। যুদ্ধজাহাজে দাঁড়িয়েই রাজনাথ বলেন, ‘১৯৭১ সাল সাক্ষী, ভারতীয় নৌবাহিনী যখন অভিযানে নামল, তখন পাকিস্তান দু’টুকরো হয়ে গিয়েছিল। অপারেশন সিঁদুরেও যদি ভারতের নৌবাহিনী সংঘাতে নামত, তাহলে এবার পাকিস্তান আর দু’টুকরো নয়, চার টুকরো হয়ে যেত।’
কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার বদলায় পাকিস্তানের মাটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করেছিল ভারত। সেই অভিযানে ভারতীয় নৌবাহিনীর নীরব ভূমিকারও প্রশংসা করেছেন রাজনাথ সিং । তিনি বলেন,’অপারেশন সিঁদুরের সময়ে কিছুটা নীরব থাকলেও পাকিস্তানের সেনাদেরকে রুখে দাঁড়িয়েছিল নৌবাহিনী।
“ভারতের বিমানবাহিনী যখন পাকিস্তানের সন্ত্রাসী ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে, সে সময় সাগরে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে ছিল নৌবাহিনীর সেনারা। তাদের ভয়ে নিজেদের বন্দরেই আটকে ছিল পাকিস্তানের নৌবহর। তারা সমুদ্রে নামার সাহস দেখায়নি ।’ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন,’পাকিস্তানের ভাগ্য ভালো যে, অপারেশন সিঁদুরের সময়ে নৌবাহিনী বীরত্ব দেখায়নি।
সন্ত্রাসী হামলার মাত্র ৯৬ ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় নৌবাহিনী পশ্চিম ও পূর্ব উপকূলে ভূমি থেকে ভূমিতে এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ও টর্পেডো উৎক্ষেপণ করে তাদের প্রস্তুতি প্রমাণ করেছে বলে জানান রাজনাথ সিং । নৌ সেনাদের উদ্দেশে তিনি বলেন,’আপনাদের আগাম প্রস্তুতি এবং বিক্রান্ত কেরিয়ার ব্যাটল গ্রুপের উপস্থিতিই পাকিস্তানের মনোবল ভেঙে দেয়। বিক্রান্ত নামের অর্থ হল— অদম্য সাহস, অপরাজেয় শক্তি। আপনাদের চোখে যে দৃঢ়তা দেখছি, সেটিই ভারতের আসল শক্তি।’।