প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৭ ডিসেম্বর : শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে এখনও তোলপাড় চলছে রাজ্য জুড়ে।এই অবস্থার মধ্যেই শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে নজিরবিহীন আক্রমন শানালেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বর্ধমানে অনুষ্ঠিত এবিটিএর রাজ্য সম্মেলনের প্রকাশ্য সভায় যোগ দিয়ে তিনি বলেন,“শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত যদি বিনা বাধায় হয় তাহলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও এর আওতায় আসবেন।দুর্নীতির ব্যাপারে তিনিও জানেন । তাঁর (মুখ্যমন্ত্রীর)সচেতন অনুমতিতেই যে এইসব হয়েছে তার তথ্য আছে বলেও বিকাশরঞ্জন বাবু এদিনদাবি করেছেন“। একই সঙ্গে বিকাশরঞ্জন বাবু এও বলেন,সেইসব তথ্য পেশও করা হয়েছে।বিনা বাধায় তদন্ত হলে মুখ্যমন্ত্রীও তার আওতায় আসবেন।
শুধু শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নয় ,রাজ্য সরকারের শিক্ষানীতিরও এদিন কঠোর সমালোচনা করেন বর্ষিয়ান সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য্য। তিনি বর্ধমানের স্কুল বাড়ি ভেগে গুঁড়িয়ে দেওয়া কান্ড নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন,তৃণমূল কংগ্রেস সচেতন ভাবেই শিক্ষার পরিবেশ এইভাবে নষ্ট করতে চাইছে।পাশাপাশি তিনি সিবিআই হেপাজতে লালন শেখের মৃত্য নিয়েও এদিন মুখ খোলেন। তিনি বলেন,লালন সেখের মৃত্যুতে এখনই কিছু বলা না গেলেও এতে অনুব্রত এবং তৃণমূল কংগ্রেস সবচেয়ে বেশী উপকৃত হবে। লালনের স্ত্রী যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁরা সবাই অনুব্রতর মামলা বা বগটুই কান্ডের তদন্তে যুক্ত রয়েছেন ।
কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভেলের প্রসঙ্গ
টেনেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন বিকাশরঞ্জন বাবু।এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে এমন অপরিণত মস্তিস্কের মুখ্যমন্ত্রী আমরা পেয়েছি। সবাইকে বসিয়ে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল চলাকালীন উনি বললেন; অমিতাভ বচ্চনকে ভারতরত্ন দেওয়া উচিত। বিষয়ের গুরুত্ব এতে লঘু হয়ে যায়। তবে বাক স্বাধীনতা নিয়ে অমিতাভ বচ্চন যা বলেছেন তা বাস্তব বলে বিকাশরঞ্জন বাবু দাবি করেছেন ।
সিপিএম সাংসদের এইসব বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপাত্র দেবু টুডু। তিনি বলেন, নিয়োগ দুর্নীতি
সব থেকে বেশী হয়েছে বাম আমলে । সিপিএমের
ক্যাডার ছাড়া ফাম আমলে কেউ কোথাও চাকরি পেত না ।ওদের আমলে যোগ্যদের কোন কোন
দাম ছিল না । সেইসব বিকাশরঞ্জন বাবু সহ সিপিএম নেতারা এখন ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করছে । তবে বিকাশরঞ্জন ফাবু এইসদ বুলি যতই আওড়ান না কেন তাতে কিছু লাভ হবে না। বাংলার মানুষ সিপিএমকে শূন্যে পাঠিয়ে দিয়েছে। এখনও কয়েক যুগ সিপিএম শূন্যেই রয়ে থাকবে ।।