গত ২২ এপ্রিল পাহেলগামে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে । একজন স্থানীয় মুসলিম ছাড়া বাকিরা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ । সন্ত্রাসীরা হিন্দু পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরই তাদের গুলি করে হত্যা করেছে । অথচ বামপন্থী, কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মতো দলগুলো বলছে এই ঘটনায় অযথা হিন্দু মুসলিম করা হচ্ছে । কিন্তু তাদের সেকুলারিজমের নামে এই প্রকার ভন্ডামীর মুখোশ খুলে দিয়েছে নিহতদের পরিবার । তারা মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে যারা কলমা পড়তে পারেনি তাদের হত্যা করা হয়েছে । কলমা পড়তে পারলেও সে মুসলিম কিনা জানতে প্যান্ট খুলিয়ে খতনা পরীক্ষা করা হয়েছে । মহিলাদের স্মৃতিতে সিঁদুর এবং হাতে শাঁখা দেখার পরেই নরসংহার করেছে ইসলামী সন্ত্রাসীরা । কিন্তু তারপরেও পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের মিডিয়া এই ঘটনাটাকে নিছক সন্ত্রাসবাদী ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করছে । পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী ও কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম গতকাল বলেছেন, “হিন্দু মুসলিম নয়, ভারতীয়দের হত্যা করা হয়েছে৷” কিন্তু তাদের এই ভন্ডামীর মুখোশ খুলে দিয়েছেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে মৃত কলকাতার বাসিন্দা দুই যুবককে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়া বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তুমি কলকাতা বিমানবন্দরে চিৎকার করে বলেছেন, “হিন্দু পরিচয়ের জন্যই খুন হতে হয়েছে অতগুলো মানুষকে ।”
ভারতের মিডিয়া এবং রাজনৈতিক দলের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতার নামে এই প্রকার ভিন্ন রাজনীতির মুখোশ খুলে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় । একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, কাশ্মীরে হিন্দুদের নরসংহার হল৷ নাম জিজ্ঞেস করে মারা হয়েছে । কলমা পড়ানো হয়েছে । কিন্তু খবরের কাগজে শিরোনাম হলো “কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলা” (দৈনিক জাগরণ) । যারা কলমা পড়েছিল, তারপরও তাদের সন্দেহ হলে প্যান্ট খুলে পরীক্ষা করা হয় যে তার খতনা করা হয়েছে কিনা । কিন্তু হেডিং হল “টেরোরিস্ট ম্যাসাকার” (দা টাইমস অফ ইন্ডিয়া) । ভারতের মিডিয়া ইসলামী জিহাদকে কিভাবে আতঙ্কবাদী হামলা হিসাবে সুরক্ষা দেয় এটাই তার প্রমান । তবে এই প্রথম হচ্ছে না । লাগাতার এই কাজ করে আসছে ভারতীয় মিডিয়া ।
তিনি বলেন,অনন্তনাগে ৩৬ হিন্দুকে হত্যা, উনওয়ালে ৩২ হিন্দু, শেষনাগে ১৩ হিন্দু,বিধানমণ্ডল এলাকায় ৩৬ হিন্দুর হত্যা, চন্দনওয়াড়িতে ১১ হিন্দু,হাইওয়ের পাশে ১৯ হিন্দু, পুলওয়ামায় ২৪, ফের পুলওয়ামায় ১৩ হিন্দুর হত্যা, ফের পুলওয়ামায় আমাদের ৪০ সেনা শহীদ হল… অসংখ্য হত্যা হয়েছে । কিন্তু যখন যখন হত্যা হয়েছে সংবাদ মাধ্যম তাকে সন্ত্রাসবাদি হামলা বলে সুরক্ষা দিয়েছে । সংবাদ মাধ্যম যখন আতঙ্কবাদী শব্দ প্রয়োগ করে তখন বুদ্ধিজীবী, সেকুলাররা বলতে শুরু করে যে “সন্ত্রাসবাদের কোন ধর্ম হয় না” ।
ধর্ম পরিচয় দেখেই পাহেলগামে হিন্দু নরসংহার
তিনি বলেন,সন্ত্রাসবদীদের কোন কোন ধর্ম সম্প্রদায় নেই । কিন্তু বাস্তবতা হলো যে বিশ্বের যত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আছে তাদের নাম গুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন যে সন্ত্রাসবাদে কোন ধর্ম হয় কিনা । যদি সন্ত্রাসবাদের কোন ধর্মই না হয় তাদের নাম জিজ্ঞেস করে গুলি চালাবে কেন ? ভিড় লক্ষ্য করে গুলি কেন চালায় নি ? যে কলমা পড়তে পারে নাই তাকে কেন গুলি করা হলো ? যার খতনা হয়নি তাকে কেন গুলি করা হলো ?
তিনি বলেন,এত কিছুর পরেও কিছু মানুষ বলছে যে এই ঘটনার জন্য সুপ্রিম কোর্ট দায়ি৷ বুদ্ধিজীবীরা বলছে সুপ্রিম কোর্ট যদি নির্বাচন না করাতো তাহলে এই হত্যা হত না । আরে, ১৯৯০ সালে কাশ্মীরে হিন্দু পণ্ডিতদের যে নরসংহার হয়েছিল তার জন্য কি সুপ্রিম কোর্ট দায়ি ছিল ? মুর্শিদাবাদ, বাংলাদেশ, সিরিয়া, ইরান, ইরাকে যে কাফেরদের হত্যা করা হচ্ছে তার জন্য সুপ্রিম কোর্ট দায়ী ? সত্য ঘটনা বলতে ভয় পাচ্ছে । জিহাদী মানুষিকতা কোথা থেকে আসছে এই বিষয়ে কেউ কথা বলবেনা । কখনো সরকার, কখনো নিরাপত্তা বাহিনী, কখনো সেনা, কখনো পুলিশের উপর দায় চাপিয়ে দিয়ে ঘটনাকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে ।
ভারতের রাজনৈতিক নেতা,মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা
অশ্বিনী উপাধ্যায় বলেন,দুর্ভাগ্য এটাও যে একের পর এক জিহাদী হামলা হচ্ছে এরপরেও আমাদের নেতা, অভিনেতা,লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, কলামিস্টরা কি বলছে – “সমস্ত সম্প্রদায় এক হয়” । এমনকি বিচারকরা বলছে যে সমস্ত ধর্মীয় পুস্তকে একই কথা লেখা আছে । আমাদের সাংসদ- বিধায়ক-মন্ত্রী যারা সংবিধানের শপথ নেয় তারা কি বলছে : “গুরুকুল আর মাদ্রাসা সমান” । সংবিধানের শপথ নেওয়া ব্যক্তিরা বলছে : “বেদ-পুরান বাইবেল, কোরান সব সমান” । সংবিধানের শপথ নেওয়া মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, বিচারক কি বলছে : “আতঙ্কবাদীর কোন ধর্ম হয় না” । আর কবি ও লেখক কি বলছে : “মজব নেহি সিকাতা আপস মে ব্যার রাখনা” । আর কেউ এটাও বলছে : “কুছ তো বাত হ্যায় হস্তি মিটতি নেহি হমারি” । কিন্তু আমাদের হস্তি ধ্বংস হচ্ছে, আমাদের বস্তি ধ্বংস হচ্ছে, আফগানিস্তান থেকে আমাদের হস্তি ও বস্তি বিনষ্ট হয়েছে, পাকিস্তানে আমাদের হস্তি ও বস্তি ধ্বংস হয়েছে, মালদ্বীপে হস্তি ও বস্তি ধ্বংস হয়েছে, বাংলাদেশে হস্তি ও বস্তি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, ভারতের ৯ রাজ্যে হস্তি ও বস্তি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, ভারতের ৮০০ জেলার মধ্যে ২০০ জেলায় হস্তি ও বস্তি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, ৬০০০ তহসিলের মধ্যে ১৫০০ তহসিলে হস্তি ও বস্তি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকার যে ৩০০ তহসিল রয়েছে তার সমস্ত হস্তি ও বস্তি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, তারপরেও আমাদের কবি, কাহিনীকার, ইউটিউবার, লেখক, বুদ্ধিজীবীরা বলছেন : “কুছ তো বাত হ্যায় হস্তি মিটতি নেহি হমারি” । কেউ এটাও বলছে যে সমস্ত সম্প্রদায় শান্তি শেখায়, ভ্রাতৃত্ব শেখায়, পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা শেখায় । যদি ভালোবাসাই শেখাতো তাহলে হিন্দুরাই কেন মরতো ? এর ওপরে কখনো আলোচনাই হবে না ।
ভারতীয় প্রাচীন সংস্কৃতি পুনরুদ্ধার
তিনি বলেন,একটা বিষয় এটা হলো যে আমাদের বেদ, পুরাণ, উপনিষদ, ভগবতগীতায় লেখা হয়েছে ব্যক্তির স্বভাব, ব্যক্তির ব্যবহার এই বিষয়ের উপর নির্ভর করে যে শৈশব থেকে শিশু নিজের চোখে কি দেখছে, নাকে কি ঘ্রান নিচ্ছে, মুখ দিয়ে কি খাচ্ছে আর কান দিয়ে কি শুনছে তার উপর । আমাদের আজাদীবালা যে গ্যাং আছে, যারা সংবিধানের দোহাই দিয়ে বলে যে সমস্ত ব্যক্তির কোন কিছু খাওয়া, কোন কিছু দেখার, কোন কিছু ভাবার অধিকার, যে কোন চলচ্চিত্র সিরিয়াল তৈরীর অধিকার, যেকোনো কিছু পড়ানোর অধিকার আছে । এরাই আমাদের বিনাশের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ।
আমাদের স্কুলে ইন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রণের কথা হয়না । অষ্টাঙ্গ যোগ পড়ানো হয় না । বসুধৈব কুটম্বকম নেই৷ শিখ- বুদ্ধ-জৈনবাদ, আমাদের বেদ-পুরাণ-উপনিষদে কি লেখা আছে তা পড়ানো হয় না । কিন্তু কি হচ্ছে ? ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন করা হচ্ছে ; ধর্মের ভিত্তিতে নিয়ম কানুন চলছে।
ভারতে তোষামোদি রাজনীতি
অশ্বিনী উপাধ্যায় বলেন, ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন হয়েছিল । তারপরও ধর্মের ভিত্তিতে ওয়াকফ বোর্ড এবং ওয়াকফ ট্রাইবুনাল চলছে । ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের পরেও মাইনরিটি কমিশন, মাইনরিটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি চলছে। ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের পরেও ধর্মের ভিত্তিতে স্কুল-কলেজ-কোচিং সেন্টার চলছে৷ ধর্মের ভিত্তিতে লোন ওজিফা দেওয়া হচ্ছে । ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দিয়ে যাওয়া হচ্ছে । মোঘলদের ৫০০ বছরের শাসনে ১০০০ মাদ্রাসা খুলেছিল । আর দেশের সংবিধান লাগু হওয়ার পর ৩,০০,০০০ মাদ্রাসা খুলে দেওয়া হয়েছে । ইংরেজের ২০০ বছরের শাসনে ১০০০ মিশনারি স্কুল খুলেছিল । কিন্তু বিগত ৭৫ বছরে ৩,০০,০০০ মিশনারি স্কুল খোলা হয়েছে । এর জন্য অন্য কেউ দায়ী নয়, যারা সংবিধানের শপথ নিয়েছে তারাই দায়ী । যারা মনে করে সব ধর্ম সমান । সব পন্থ সমান । সমস্ত পুস্তক এক সমান৷ সমস্ত সম্প্রদায় এক । চিন্তাভাবনা এক ।
অশ্বিনী উপাধ্যায়ের কথায়, যদি শৈশব থেকে একটা শিশু হিংসা দেখে, পশুদের হত্যা দেখে, এমনকি তাকে দিয়ে হত্যা করানো হয়, তাহলে তার মধ্যে প্রেম বা আবেগ আসবে না । অন্যের প্রতি অহিংসার ভাব আসবে না । শৈশব থেকে সে হিংস্র হয়ে যাবে । আর এই চিন্তা ভাবনা সবথেকে বড় কারণ হলো সে দিনে পাঁচবার যেটা কানে শোনে । কি শোনে ? লা ইলাহি ইল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কেউ প্রার্থনার যোগ্য নয় । এর অর্থ কি হলো ? ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ কি প্রার্থনার যোগ্য নয় ? এর মানে কি ? ভগবান রাম ভগবান কৃষ্ণ, ভগবান গণেশ, দুর্গা-লক্ষ্মী-সরস্বতী-বালাজি কি পূজার যোগ্য নয় ? আমাদের ২৪ তীর্থঙ্কর পূজনীয় নয়? ১০ শিখ গুরু পূজনীয় নয়? ভগবান বুদ্ধ পূজনীয় নয়? এই যে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে তার ওপর কোন চর্চা হয় না । জেহাদ, সন্ত্রাসবাদের মূল কারণ কি সে নিয়ে ভাবাই হচ্ছে না ।
ধর্মান্তরিত হিন্দুদের মধ্যে ধর্মান্ধতা
তিনি বলেন,আর একটা বিষয় হলো, যারা সন্ত্রাসবাদি হামলা করেছে ৫০০ বছর আগে তাদের পূর্বপুরুষরা কি ছিল ? হিন্দু । কারণ ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ ১৪০০ সাল বা ২০০০ বছর আগে ওখানে কি ছিল ? তারা ভগবান, নদী, বৃক্ষ, মূর্তি পূজা করতো । দুর্গা লক্ষ্মী সরস্বতী পূজা করত । রামকৃষ্ণের পূজা করত । গোটা এশিয়া জুড়ে ভগবান রামের রাজত্ব ছিল । অর্ধেক এশিয়ায় চন্দ্রগুপ্তের রাজত্ব ছিল । এশিয়ার প্রায় অর্ধেক অংশ সম্রাট অশোকের রাজত্ব ছিল । আজকে যখন ৫৭ ইসলামিক দেশ আছে, সেখানে ১৫০০ শতাব্দী আগে ইসলাম ছিলই না । ১৫০০ শতাব্দীতে ভারতে বাবর ধর্ম পরিবর্তন শুরু করে । আর যারা ধর্মান্তরিত হয়েছে আজ তারাই সব থেকে বড় শত্রু হয়ে গেছে । যারা ধর্মান্তরিত হিন্দু তারাই আজ প্যান্ট খুলে পরীক্ষা করছে খতনা হয়েছে কিনা । তা না হলে গুলি মারছে । ধর্মান্তরিত হিন্দুরাই আর জিহাদ করছে । জিহাদের নামে সব থেকে বেশি হত্যা কনভার্টেড হিন্দুরাই করছে । আজকের তারিখে হিন্দুদের যারা হত্যা করছে ইরান, কুয়েত, দুবাই থেকে আসছে না, তারা সবাই এদেশের কনভার্টেড হিন্দু । বাস্তবতা হলো যে আরব, দুবাই, কুয়েতে যে সমস্ত হিন্দুরা আছে তারা ভারতের থেকে অনেক বেশি সুরক্ষিত ।
সংখ্যালঘু চিহ্নিতকরণ
তিনি বলেন,আমরা ধর্মের ভিত্তিতে বোর্ড তৈরি করে দিয়েছি । ট্রাইবুনাল তৈরি করে দিয়েছি । আয়োগ তৈরি করে দিয়েছি । ধর্মের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় তৈরি করে দিয়েছি । ধর্মের ভিত্তিতে এত কিছু করার পরেও মাইনরিটি চিহ্নিত করাই হয়নি । কত সংখ্যা হলে একটা সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু বলা হবে তা সংবিধানে চিহ্নিত করাই হয়নি। অথচ মাইনরিটির নামে কোটি কোটি টাকা বাজেট রাখা হচ্ছে প্রতি বছর ।
ধর্মীয় পুস্তক পরীক্ষার জন্য কমিশন গঠনের দাবি
তিনি বলেন, যদি ভারতকে বাঁচাতে চান তাহলে মাইনরিটি মেজরিটি খেলা বন্ধ করতে হবে । ভারতকে বাঁচাতে চাইলে ঘৃণা বক্তৃতাকে চিহ্নিত করতে হবে । এ কারণে ভারতের যতগুলো ধর্মীয় পুস্তক আছে সেগুলোকে পরীক্ষা করার জন্য এটা কমিশন গঠন করা হোক । যে যে ধর্মীয় পুস্তকে হিংসার কথা বলা হয়েছে অন্তত সেই অংশগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক৷ চীন এটাই করেছে । ঘৃণা কথনকে চিহ্নিত করে যে যে পুস্তকের যে যে পাতায় ঘৃণামূলক কথা বা হিংসার কথা আছে সেগুলোকে বাদ দিয়ে দিয়েছে । তাহলে ভারতে কেন হবে না ? কে আটকেছে আপনাদের ? যদি মনে করেন গণতন্ত্র বিপন্ন হচ্ছে তাহলে ১-২ বছরের জন্য ইমার্জেন্সি লাগু করে দিন । ১৯৭৫ সালে তো জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল । লাগান, সুবিধা কি ?
জরুরি অবস্থা ঘোষণার দাবি
তিনি বলেন, ভারতকে তো বাঁচাতে হবে । তিল তিল করে খতম হওয়ার থেকে, লাভ জিহাদে খতম হওয়ার থেকে, ল্যান্ড জিহাহে খতম হওয়ার থেকে, অনুপ্রবেশে খতম হওয়ার থেকে, ধর্মান্তরনের কারণে খতম হওয়ার থেকে, জনসংখ্যা বিস্ফোরণের কারণে খতম হওয়ার থেকে সবথেকে ভালো ব্যবস্থা হল এক দু বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে একবারেই সবকিছু সাফাই করে দেওয়া হোক ।
পুরনো আইন বদলের দাবি
অশ্বিনী উপাধ্যায় বলেন,ভারতকে বাঁচাতে হলে রাইট টু এডুকেশন অ্যাক্ট বদলে দিয়ে রাইট টু ইট ইকুয়াল এডুকেশন অ্যাক্ট নিয়ে আসুন । ভারতকে বাঁচাতে হলে প্লেস অফ ওরশিপ অ্যাক্টকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে যে সমস্ত মঠ মন্দিরকে ধ্বংস করে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে তা সমস্ত ফিরিয়ে আনা হোক । তিনি অ্যানসেন্ট মনুমেন্ট অ্যাক্ট এর সংস্কারের দাবি জানান,যাতে সমস্ত পরাধীনতার গ্লানি একসাথে মিটিয়ে ফেলা যায় । তিনি বলেন, যদি ভারতকে বাঁচাতে চান তাহলে হিন্দুদের অন্তত ত্রিশুল, তলোয়ার, ভালা আমাদের দেব-দেবীদের অস্ত্রশস্ত্র রাখার অনুমতি দেওয়া হোক । আর্মস অ্যাক্ট হিন্দুদের নিরস্ত্র করে রেখেছে । ভারতকে বাঁচাতে হলে জিহাদের নামে বিদেশ থেকে যে অর্থ আসছে তা বন্ধ করতে মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের বদল করুন । ভারতকে বাঁচাতে হলে ল্যান্ড জিহাদ, লাভ জিহাদ, অনুপ্রবেশকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করুন এবং সমস্ত ডিজিপিদের নির্দেশ দিন এনএসএ লাগু করতে । ভারতকে বাঁচাতে হলে ইংরেজদের সৃষ্ট ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন অ্যাক্টকে বাতিল করুন । ভারতকে বাঁচাতে হলে রিপ্রেজেনটেশন অফ পিউপিল অ্যাক্ট ১৯৯৫ কে বাতিল করুন । পরিবর্তে একটা নতুন নির্বাচন সংহিতা লাগু করুন । আর যারা ভারতের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে,দেশদ্রোহিতায় যুক্ত তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং নতুন দল তৈরির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক । তিনি এক দেশ এক পুলিশ আইন তৈরির দাবি করেছেন । এনডিপিএস অ্যাক্ট বাতিল করে নতুন আইন এনে ড্রাগ জিহাদ বন্ধের দাবি তুলেছেন তিনি । সিটিজেনশিপ এক বদল করে নতুন আইন এনে জিহাদীদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার দাবি জানান অশ্বিনী উপাধ্যায় । দাবি তুলেছেন ইউনিফর্ম সিভিল কোড লাগু করার এবং ফরেন অ্যাক্ট বাতিলের ।
অশ্বিনী উপাধ্যায় বলেন,মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে ভারত বদলে যেতে পারে । কিন্তু এর জন্য নিয়ম- কানুনের বদল আনতে হবে । যতক্ষণ না পর্যন্ত পুলিশ, প্রশাসন, শিক্ষা, নির্বাচন, বিচার ব্যবস্থার বদল না করা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারত সুরক্ষিত হবে না । আর আইন কানুন বদল না করলে এই ভাবেই সন্ত্রাসী হামলা হবে, জিহাদ চলবে, অনুপ্রবেশ চলবে, ধর্মান্তরন চলবে, আমরা লাগাতার কমবো এবং কাটা পড়বো ।’।

