প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৪ ফেব্রুয়ারী : ছোট গ্যাস সিলিণ্ডার দিয়ে মাথায় আঘাত করে কাঠমিস্ত্রী স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠলো আইসিডিএস কর্মী স্ত্রীর বিরুদ্ধে। মৃতের নাম সন্তোষ কুমার মজুমদার ওরফে সুনীল(৬২)।নৃশংস এই হত্যা কাণ্ডের ঘটনাটি রবিবার ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসির ভূঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কালীমোহনপুর গ্রামে।ঘটনার তদন্তে নেমে গলসি থানার পুলিশ অভিযুক্ত আইসিডিএস কর্মী শ্রীমতি মজুমদারকে পাকড়াও করেছে। বাবাকে হত্যাকারী মায়ের কাঠোর শাস্তির দাবি করেছে মেয়ে ।
নিহত সন্তোষ মজুমদারের মেয়ে শর্মিলা বিশ্বাস বলেন,আমার মা আমার বাবাকে ভালোবাসতো না। মা আমার বাবাকে কোনদিনও শান্তি দেয়নি। বাবার জীবন অতিষ্ট করে তুলেছিল মা। এমনকি আমার মা আমার বাবাকে খুব টর্চারও করতো । সেই কারণে বাবা বাড়িতে আসতে পারতেন না। এদিন বাড়িতে এসে শুনলাম আমার মা আমার বাবাকে মারধর করছে। তাতেই বাবার মৃত্যু হয়েছে। শর্মিলা জানান ,আমার মা যেন কঠোর শাস্তি পায়।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সন্তোষ বাবু ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকতো । রবিবার সকালেও দু’জনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। এরপরই সকাল আটটা নাগাদ সন্তোষ রেশন এনে বাড়ির একটু দূরে তার নিজের কাঠের দোকানে যান। আচমকা সকাল নটা নাগাদ দোকানের বাইরে টিনের উপরে আহত অবস্থায় সন্তোষকে পরে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ঘটনার পর শ্রীমতিকে তারা ডাকলে তিনি ঘটনাস্থলে আসতে চাননি। না আসায় তারা তাকে সন্দেহ করতে থাকেন।তাকে সবাই মিলে চাপে ধরলে তিনি সন্তোষ বাবুকে আক্রমণের কথা স্বীকার করেন। তা জানার পরই জনরোষ তৈরি হয় । জণরোষ থেকে শ্রীমতি মজুমদারকে বাঁচাতে পুলিশ তাকে থানার নিয়ে চলে যায়।
ভূঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুবোধ ঘোষ বলেন,স্ত্রীর মারধরে যে লোকটি মারা গেছে তিনি কাঠের কাজ করতেন। তিনি খুবই নিরীহ ভদ্রলোক ছিলেন। শুনেছি ওনার স্ত্রী নাকি গ্যাস সিলিণ্ডার দিয়ে ওনার মাথায় আঘাত করছে। তাতেই ওনার মৃত্যু হয়েছে। সবোধ বাবু বলেন,আমিও চাই পুলিশ তদন্ত করে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করুক ।।