এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,১৭ জুন : আইসিডিএস কেন্দ্রে বিলি করা হচ্ছিল পড়ুয়াদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত মিডডে মিলের খাদ্যসামগ্রী । স্কুলের নিজস্ব ওজন মাপার যন্ত্র দিয়ে ওজন করে একে একে তা অবিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছিল । সেই সময় অবিভাবকদের একাংশ ওজনে কারচুপি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া মেজিয়া ব্লকের রামচন্দ্রপুর অঞ্চলের পলাশী গ্রামে । ঘটনার কথা জানাজানি হতেই আইসিডিএস কেন্দ্রের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দেয় গ্রামবাসীরা । সেই সময় গ্রামবাসীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন আইসিডিএস কেন্দ্রের কর্মী গঙ্গা পাল । শেষে খাদ্যসামগ্রী বন্টন বন্ধ করে দেন ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,পলাশী গ্রামের ৫৫ নম্বর আইসিডিএস কেন্দ্রের শিশুদের জন্য এদিন সকালে চাল,ডাল,আলু প্রভৃতি খাদ্যসামগ্রী বিতরন করা হচ্ছিল । স্কুলে একটি ঘড়ির আকৃতির ওজন মাপার যন্ত্র রয়েছে । সেই যন্ত্রের সাহায্যে খাদ্যসামগ্রী ওজন করা হচ্ছিল । কিন্তু কয়েকজন গ্রামবাসীর সন্দেহ হওয়ায় স্কুল থেকে নিয়ে যাওয়া চাল,ডাল প্রভৃতি বাইরে গিয়ে ফের ওজন করান ।
স্থানীয় গ্রামবাসী বাপি মণ্ডল,রসময় মল্লিকদের অভিযোগ, ‘আইসিডিএস কেন্দ্র থেকে দেওয়া চাল,ডাল দেখেই আমাদের সন্দেহ হয়েছিল । তাই সেগুলো গ্রামের অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে ফের ওজন করাই । দেখি ৪ কেজি চালে ৪০০ গ্রাম কম । ডাল,আলুতেও ওজনে কম দেওয়া হয়েছে । তাই স্কুলে এসে দিদিমণিকে বলতে এসেছিলাম । কিন্তু উনি জানান স্কুলের ওজন মাপার যন্ত্র ঠিক আছে । বাইরের কোনও যন্ত্রের ওজন তিনি মানবেন না । শেষে বাধ্য হয়ে আমরা খাদ্যসামগ্রী বন্টন বন্ধ করে দিই ।’ যতদিন না নতুন ওজন মাপার যন্ত্রের ব্যাবস্থা করা হচ্ছে ততদিন স্কুলে মিডডে মিলের সামগ্রী বন্টন করতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অবিভাবকরা ।
অন্যদিকে অবিভাবকদের অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন আইসিডিএস কেন্দ্রের কর্মী গঙ্গা পাল । তিনি বলেন, ‘যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে ভূল হতে পারে । বিষয়টা ঠিক করে নিতে হবে ।’।