এইদিন স্পোর্টস নিউজ,২১ আগস্ট : বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) সেক্রেটারি জয় শাহ আইসিসির সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে। সম্প্রতি আইসিসি প্রেসিডেন্ট গ্রেগ বার্কলে পদটি শূন্য রেখে তৃতীয় মেয়াদে মনোনয়ন না চাওয়ার ঘোষণা করেছেন।আইসিসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ২৭ আগস্ট। পদটি দুই বছরের তিন মেয়াদের জন্য এবং বার্কলে এখন পর্যন্ত চার বছর পূর্ণ করেছে। নতুন চেয়ারম্যানের মেয়াদ চলতি বছরের পয়লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে।
জয় শাহকে আইসিসি বোর্ড রুমের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে বিবেচনা করা হয়। তিনি বর্তমানে আইসিসির ফিনান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স (এফএন্ডসিএ) সাব-কমিটির প্রধান। আইসিসিতে তার ব্যাপক অভিজ্ঞতা এবং সংযোগ রয়েছে, যা তাকে পদের জন্য শক্তিশালী প্রতিযোগী করে তুলেছে।
জয় শাহ যদি আইসিসির সভাপতি হন,তা বিসিসিআইতেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। বিসিসিআই সেক্রেটারি হিসেবে তার মেয়াদের আরও এক বছর বাকি। আইসিসির সভাপতি হওয়ার পর তাকে বিসিসিআইতে চার বছরের কুলিং অফ পিরিয়ড নিতে হবে। ৩৫ বছর বয়সে তিনি আইসিসির ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান হতে পারেন।
এর আগে এই ভারতীয়রা আইসিসির চেয়ারম্যান হয়েছেন :-
জগমোহন ডালমিয়া: ভারতীয় ক্রিকেটের খোলনলচে পালটে দেওয়া জগমোহন ডালমিয়া আইসিসির সভাপতি হয়েছেন। তিনি ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিসিসিআই সভাপতিও ছিলেন।
শরদ পাওয়ার: ভারতের অভিজ্ঞ নেতাদের একজন শরদ পাওয়ার আইসিসির সভাপতিও হয়েছেন। তিনি ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। শরদ পাওয়ার ২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিসিসিআই সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন
এন শ্রীনিবাসন: বিসিসিআই সভাপতি এন শ্রীনিবাসন, ছিলেন ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এন শ্রীনিবাসন আইসিসি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন । ২০১৬ সালে আইসিসি সভাপতির পদ বিলুপ্ত করা হয়। শ্রীনিবাসন আইসিসির প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ২০১২ থেকে ২০১৩ এবং ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিসিসিআই-এর সভাপতি ছিলেন।
শশাঙ্ক মনোহর: প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি শশাঙ্ক মনোহরও আইসিসি সভাপতি হয়েছেন। তিনি ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন। শশাঙ্ক মনোহরের পর এখনও পর্যন্ত কোনও ভারতীয় আইসিসির বস হননি।।