এইদিন ওয়েবডেস্ক,খেজুরি(পূর্ব মেদিনীপুর),২৪ নভেম্বর : ‘বুথগুলোকে রেডি করুন । বুথে বুথে ৫০ টা লোক দরকার আমার । ৩০ জন করে যুবক আর ২০ জন করে মহিলা । মহিলারা হবেন মা ভবানী । আর যুবকরা হবেন স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্য । কি করে এদের হারাতে হয় শুভেন্দু অধিকারী জানে । রাস্তার ওপারে যেমন কোম্পানির মালিককে আমি হারিয়েছি । পঞ্চায়েত কি করে জিততে হয় দেখে নেবো ।’ বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরে পথসভায় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এমনই বার্তা দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ পাশাপাশি স্থানীয় দলীয় নেতৃত্বদের ‘চ্যাটাই সভা আর উঠান বৈঠক’ শুরু করার পরামর্শ দিয়ে যান তিনি । তিনি বলেন,’১২-১৩ টা একটু রিপেয়ার করতে হবে,তাই না? বাকি ১০ টা ঠিক আছে তো ? চিন্তার কোনো কারন নেই ।’
রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে এদিন খেজুরীতে বিজেপির পদযাত্রা ও পথসভা ছিল । দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলকে এদিন চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন শুভেন্দু । তিনি বলেন,’তোলামুল কোম্পানি নাকি সকালে বিকেলে খেজুরিতে সভা করবে । অথচ ২০১০ এর এই দিনে এই হালি নেতারা কেউ ছিল না । এখানকার ততকালীন বামপন্থী নেতারা যা ব্যবস্থা করেছিলেন, যা যা মাল মশলা ব্যবস্থা করেছিলেন তাতে ওই হালি নেতাগুলো ওই দিনেই সব শেষ হয়ে যেত । আর এখন লম্বা লম্বা ঘাস জমে যেত,শুভেন্দু অধিকারী না থাকলে ।’ তিনি বলেন,’আজ বলতে লজ্জা লাগে,সেদিন বামপন্থীদের হার্মাদ বলতাম,আর এখন তৃণমূলের হালি নেতারা হার্মাদকে ছাড়িয়ে গেছে ।’ এরপর দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বকেন,’আপনারা প্রস্তুত আছেন তো ? একেবারে গোড়া ধরে তুলতে হবে,যাতে নিচে এতটুকু শিকড় না থাকে ।’
সেই সঙ্গে দূর্নীতি নিয়েও তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী । তিনি বলেন,’জব কার্ড হোল্ডারদের টাকা না দিয়ে নিজেরা টাকা তুলেছে । আমফানের টাকা মেরেছে । ঝড়ের পরে খেজুরি শুয়ে পড়েছিল । মোদিজি ৩৭৫০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । ঘর ভাঙলে ২০ হাজার,পানের বরজ ভাঙলে ইউনিট প্রতি ৬ হাজার,ঝড়ে গাইগরু মারা গেলে ৩০ হাজার, পেয়েছেন কেউ ? তাহলে কি করতে হবে? চোর ধরো । পার্থ কেষ্ট চুনোপুঁটি সব খেয়েছে হাওয়াই চটি ।’ দলের এক কর্মীকে মারধরের ঘটনায় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যান শুভেন্দু । তিনি বলেন,’কে একজন ইয়াসিন কালকে সুরজকে মেরেছে ? আমি পুলিশের লোকদের বলে দিয়ে যাচ্ছি, ব্যবস্থা যদি না নেন তাহলে ১ তারিখে খেজুরি থানায় আসছি আমি । আমি বুঝিয়ে দেবো শুভেন্দু অধিকারী কে । আর মাননীয় ইয়াসিনবাবু, আপনার যা যা ওষুধ লাগবে ডাক্তারবাবু জানে ।’ সেই সঙ্গে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘দেশদ্রোহীরা ভালো করে কান খুলে শুনে রাখো, খেজুরিতে এনআইএ জীবিত আছে ।’।