এইদিন ওয়েবডেস্ক,০৬ মার্চ : ইসলামী সন্ত্রাসবাদীদের একটাই লক্ষ্য নারকীয় নৃশংসতা এবং অবাধ যৌনতা । সন্ত্রাসীদের কাছে মেয়েদের বয়েসের কোন গুরুত্ব নেই । বয়স্ক মহিলা থেকে কিছু কন্যা পর্যন্ত তাদের লালসার হাত থেকে রেহাই পায় না । একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে । ভিডিওতে এক কিশোরী ও তার পাশে এক ব্যক্তিকে দাঁড়িয়ে থাকতে গেছে । তাদের সামনেই দাঁড়িয়ে আছে হলুদ পোশাক পরা হাতকড়া পড়ানো এক ব্যক্তি । হাতকড়া লাগানো ঐ ব্যক্তিটি আদপে কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামী স্টেট (আইএসআইএস)-এর একজন জেলবন্ধি সন্ত্রাসী বলে বলা হয়েছে ।
ভিডিওটি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে জনৈক আজ্জাত আলসালেম (@AzzatAlsalem) নামে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন মেয়েটি বলছে যে ‘আমার বয়স তখন ১৪ বছর যখন তুমি আমাকে ধর্ষণ করেছিলে এবং আমি তোমার বাচ্চাদের বয়সী ছিলাম ।’ মেয়েটি এ কথা বলার পরেই তাকে অজ্ঞান হয়ে উল্টে পড়ে যেতে দেখা যায় । ওই ব্যবহারকারী আরও লিখেছেন, ‘তাকে অপহরণ করা হয়েছিল এবং আইএসআইএস বন্দিদশায় তার বোনদের সাথে বহুবার বিক্রি করা হয়েছিল। ৭,০০০ ইয়েজিদি নারী ও শিশু অপহরণ হয়েছিল, ২৭০৩ জন এখনও নিখোঁজ ।’
এই ভিডিওটা দেখার পর ক্ষোভে ফুঁসছে নেটিজেনরা । এইচ কসকুন নামে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন,’এই কারণে, একজন কুর্দি ব্যক্তি হিসাবে, আমি বলি যে ইসলাম একটি সন্ত্রাসবাদের ধর্ম ।’ ওই সন্ত্রাসবাদীকে কেন এখনো বাঁচিয়ে রাখা হলো তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন । একজন লিখেছেন, ‘কারাগারের মধ্যে ও এখনো জীবিত কেন ?’
আরো একজন মন্তব্য করেছেন, ‘একটি বুলেটের দাম গড়ে ২৪ সেন্ট। কেন সে এখনও বেঁচে আছে ?’ এক ব্যবহারকারী তার প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, ‘তাকে লজ্জিত মনে হচ্ছে না কিন্তু ইয়েজিদের হাত থেকে মুক্তি পেতে সে নিশ্চয় আল্লাকে ডাকছে ।’।