এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১৮ সেপ্টেম্বর : বিষ্ণু মূর্তি পুনর্নির্মাণের বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ার পর আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) বি আর গাভাই বলেছেন, “আমি সকল ধর্মকে সম্মান করি”। প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ ১৬ মে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো মন্দির কমপ্লেক্সের অংশ জাওয়ারি মন্দিরে সাত ফুট লম্বা বিষ্ণু মূর্তি পুনর্নির্মাণ ও পুনরুদ্ধারের নির্দেশনা চেয়ে একটি আবেদন খারিজ করে দেয়। বিষ্ণু মুর্তির মাথাটি দেশে ইসলামি শাসনের সময় খন্ডিত করে দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু আবেদনটিকে “প্রচারণার স্টান্ট” বলে অভিহিত করে প্রধান বিচারপতি আবেদনটি খারিজ করে দেন এবং বলেন, “এটি সম্পূর্ণরূপে প্রচারণার স্টান্ট। ঈশ্বরকে কাছে গিয়ে তাকে কিছু করতে বলুন । আপনি বলছেন যে আপনি বিষ্ণুর একজন দৃঢ় ভক্ত, আপনার একটু প্রার্থনা এবং ধ্যান করা উচিত।” ছত্তরপুর জেলার জাওয়ারি মন্দিরে ক্ষতিগ্রস্ত মূর্তি প্রতিস্থাপন এবং স্থাপনের জন্য রাকেশ দালালের দায়ের করা আবেদনটি গ্রহণ করতে বেঞ্চ অস্বীকৃতি জানায়।
এদিকে আদালতে শুনানির সময় প্রধান বিচারপতির এই প্রকার বিতর্কিত বক্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় । বি আর গাভাইকে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে নিষ্কাশনের দাবিও ওঠে । কেউ কেউ বিচারপতিদের ধর্ম পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন,হিন্দু ধর্মস্থানের বিষয়ে একটা মামলা কেন একজন বৌদ্ধ ও একজন খ্রিস্টান বিচারকের এজলাসে দেওয়া হল ?
যদিও প্রধান বিচারপতি তার বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাননি । উলটে সোশ্যাল মিডিয়ার ঘাড়ে যাবতীয় দায় চাপিয়ে দিয়েছেন । যখন প্রধান বিচারপতি বলেন যে খাজুরাহোতে বিষ্ণু মূর্তি সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য ভুলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে, তখন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন যে তিনি গত ১০ বছর ধরে প্রধান বিচারপতিকে চেনেন। বিচারপতি গাভাই বলেন যে তিনি সকল ধর্মীয় স্থানে সমান ভক্তি সহকারে যান এবং কোনও দেবতাকে অপমান করার কথা ভাবতেই পারেন না। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, “আমি গত ১০ বছর ধরে প্রধান বিচারপতিকে চিনি।”