এইদিন ওয়েবডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান,১৫ জুন : বর্ধমান- দুর্গাপুর আসনে বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী দিলীপ ঘোষের জয়ের বিষয়ে এক প্রকার নিশ্চিত ছিল দল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকরা । কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদের কাছে তাঁকে লক্ষাধিক ভোটে পরাজিত হতে হয় । সেই কারনে ৪ জুন ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই জেলা নেতৃত্বকে দুষছেন বিজেপি কর্মীরা । ভাতারের বিজেপি নেতা মহেন্দ্রনাথ কোঁয়ার সরাসরি অভিযোগ তোলেই যে তৃণমূলের নির্বাচনী এজেন্ট ‘আইপ্যাক’-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে দিলীপ ঘোষকে ষড়যন্ত্র করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে । তার আরও অভিযোগ যে কেন্দ্র থেকে পাঠানো নির্বাচনী খরচ বাবদ কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করা হয়েছে ।
এদিকে আজ শনিবার পিন্টু সাহা নামে এক ব্যক্তি নিজের ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করে তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন জেলার রাজনৈতিক মহলে । ছবিতে তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থী কীর্তি আজাদের সঙ্গে এক যুবককে সেলফি তুলতে দেখা গেছে । তিনি ছবি পোস্টের পাশাপাশি লিখেছেন,’তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে ভাইরাল হওয়া ব্যক্তিটি উত্তর বিধানসভার অন্তর্গত দু’নম্বর মন্ডলের, নাম মিঠুন মন্ডল। গত ১৩ ই মে ২০২৪ থেকে বর্ধমান ইউআইটিতে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের হয়ে স্ট্রং রুমে ইভিএম পাহারার দায়িত্বে ছিলেন। ওনাকে এত বড় গুরু দায়িত্ব কোন জাদু বলে দেওয়া হলো তা তদন্ত করার জন্য উচ্চতর নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’ তিনি নরেন্দ্র মোদী,অমিত শাহ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষকে ট্যাগ করেছেন ।
এদিকে তার ওই পোস্টটি ভাইরাল হয়ে গেছে । জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কানাঘুঁষো শুরু হয়ে গেছে যে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে সেলফি তোলা যুবক আদপে আইপ্যাকের লোক এবং জেলার একাংশের নেতারা আইপ্যাকের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করে দিলীপ ঘোষকে হারিয়ে দিয়েছে । একই অভিযোগ দিন কয়েক আগে তুলেছিলেন ভাতারের বিজেপি নেতা মহেন্দ্রনাথ কোঁয়ারও ।
ভাইরাল ছবির বিষয়ে বর্ধমান জেলার বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা ফোনে বলেছেন,’স্ট্রং রুমের পাহাড়ার জন্য লোক ঠিক করার দায়িত্বে আমি ছিলাম না । তাই বিষয়টি নিয়ে আমার কিছু জানা নেই ।’ পাশাপাশি বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির কনভেনর কৃষ্ণ ঘোষ বলেন,’স্ট্রং রুমের নজরদারির জন্য লোক ঠিক করার দায়িত্ব বর্ধমান শহরের কয়েকজনের উপর ছিল । তবে স্ট্রং রুমের দ্বায়িত্বে থাকা লোকেদের গননার আগে পর্যন্ত ভিতরে ঢোকার অনুমতি ছিল না । তবুও বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি ।’।