এইদিন ওয়েবডেস্ক,চিত্রকূট(উত্তরপ্রদেশ),১৮ মে : রাতের অন্ধকারে মন্দিরের গেটের তালা ভেঙে প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের প্রাচীন মূর্তি চুরি করে পালিয়েছিল চোরেরা । পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে । কিন্তু চোরের হদিশ মেলেনি । ইতিমধ্যে মন্দিরের পুরোহিতের বাড়ির সামনে পড়ে থাকতে দেখা যায় মূর্তিগুলি । সঙ্গে একটি হাতে লেখা চিঠি । তাতে লেখা আছে : ‘রাতে ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখছি । ঘুমতে পারছি না । সেই কারণেই আমরা মহন্তের বাড়ির বাইরে মূর্তিগুলি রেখে গেলাম ।’ অদ্ভুত এই চুরির ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূট জেলায় ।
জানা গেছে,চিত্রকূট জেলায় সদর কোতোয়ালির তারাওয়া(Tarawa) এলাকায় রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন বালাজি মহারাজের মন্দির । গত ৯ মে মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে । প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের অষ্টধাতুর ১৬ টি মূর্তি চুরি করে নিয়ে পালায় দূষ্কৃতীরা । মন্দিরের পূজারি মহন্ত রামবালক জানান, চুরি যাওয়া মূর্তিগুলির মধ্যে একটি প্রায় তিনশো বছরের পুরনো । বাকি মূর্তিগুলির মধ্যে একটি অষ্টধাতুর মূর্তি,তিনটি তামার মূর্তি, চারটি পিতলের মূর্তি, ছয়টি রাধাকৃষ্ণের মূর্তি এবং ছয়টি শালগ্রাম শিলা ছিল । দেবতার পরনে ছিল রূপার অলঙ্কার । ওই সবকিছু চুরি করে পালায় চোরেরা ৷ এনিয়ে তিনি থানায় অভিযোগও জানিয়েছিলেন বলে জানান ।
জানা গেছে,গত রবিবার (১৫ মে ২০২২ ) একটি চিঠিসহ পুরোহিতের বাড়ির বাইরে অষ্ট ধাতুর মূর্তিসহ ১৪ টি চুরি করা মূর্তি রেখে যায় । বস্তায় ভরে রাখা মূর্তিগুলির সঙ্গে ছিল একটি চিরকুট । তাতে উল্লেখ করা ছিল মূর্তি ফেরত দেওয়ার কারন । সদর কোতোয়ালি কারভির (Sadar Kotwali Karvi)
ইন্সপেক্টর (এসএইচও) সদর কোতোয়ালি কারভি রাজীব কুমার সিং জানিয়েছেন, চুরি যাওয়া ১৬ টি মূর্তির মধ্যে ১৪ টি মূর্তি রহস্যজনকভাবে পাওয়া গেছে । এই ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করা হয়েছে । বাকি মূর্তি ও চক্রের পান্ডাদের সন্ধান চলছে ।
তবে এই প্রথম নয়,এই ধরনের আশ্চর্য ঘটনার নিদর্শন ইতিপূর্বে অনেক পাওয়া গেছে । ২০১৯ সালে রামজন্মভূমি থানা এলাকায় ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল । নজরবাগ এলাকার যুগল মাধুরীকুঞ্জ মন্দির থেকে প্রায় ১৪০ বছরের পুরানো রামের অষ্টধাতু মূর্তি চুরির পঞ্চম দিনে ফেরত দিয়ে গিয়েছিল চোর । পরে সে স্বীকার করে করার পর থেকেই তার শরীরে এক অদ্ভুত যন্ত্রণা শুরু হয় । পাশাপাশি রাতে ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখছিল । তাই বাধ্য হয়ে মন্দিরের পুরোহিতের হাতে সে মূর্তিটি তুলে দেয় এবং তার শরীরের ব্যাথাও সেরে যায় ।
এছাড়া ২০২১ সালে কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে স্বামী কোরাগাজ্জার মন্দিরের দান বাক্স থেকে একটি কনডম বেরিয়েছিল । ঘটনার তিন দিন পর হঠাৎ করে অন্য সম্প্রদায়ের দুই যুবক মন্দিরে এসে পুরোহিতের কাছে ক্ষমা চায় । তারা স্বীকার করে রাতেত দিকে তারা তিনজন মিলে মন্দিরে এসেছিল । তখন তাদের তৃতীয় সঙ্গী মন্দিরের দানবাক্সে একটি কনডম রেখেছিল । তারপর বাড়ি ফিরে একদিন রক্ত বমি হয় তার । মল দিয়েও তাজা রক্ত বের হতে থাকে । ঘটনায় আফশোস করে সে কেবল বাড়ির দেয়ালে মাথা ঠুঁকতো । শেষে মারা যায় । তবে মারা যাওয়ার সময় সে বলে যায়, কোরগাজ্জা তাদের সকলের উপর রেগে আছেন । আর সেই ভয়েই পুরোহিতের কাছে অপরাধ স্বীকার করতে এসেছে বলে জানায় বাকি দুই যুবক ।।