এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,০৬ এপ্রিল : আমি ‘ভারত বিরোধী বা মার্কিন বিরোধী নই, আমি পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সুসম্পর্ক চাই’, মঙ্গলবার পাকিস্থানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনায় অংশ নিয়ে এই কথা বললেন পাকিস্থানের ‘কেয়ারটেকার’ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান । তিনি বলেন,’আমি কোনো দেশের বিরুদ্ধে নই। আমি ভারতবিরোধী নই। তিনি আমেরিকা বিরোধীও নই । কিন্তু তাদের নীতির বিরুদ্ধে । আমি তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে চেয়েছিলাম । তবে পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে ।’
বিরোধী দলগুলির সঙ্গে টানাপোড়েন মাঝে একাধিকবার আমেরিকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন ইমরান খান । কিন্তু টিভি চ্যানেলে বসে তাঁর মুখে উলটো সুর শোনা গেল । তিনি বলেন,’মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আমার কোনো রাগরোষ নেই । আমি চেয়েছিলাম আমেরিকা যেন পাকিস্তানের জনগণের অনুভূতির বিরুদ্ধে না যায় । সেই সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখুক আমেরিকা ।’ ইমরান খান ভারতের বিরুদ্ধে একাধিকবার বিদ্বেষমূলক কথা বলেছেন । তবে সম্প্রতি ভারতের স্বাধীন বিদেশনীতির প্রশংসাও করতে দেখা গেছে তাঁকে ।
প্রসঙ্গত,পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করেছে জোট দলগুলো । তারপর তারা এককাট্টা হয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে । পালটা সংসদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেন ইমরান । পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি ইমরান খানের সুপারিশ গ্রহন করে প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন । সেই সঙ্গে তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইমরান খানকে নির্দেশ দেন । এরপর সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইমরান বিরোধীরা । ইমরান খান বলেন,’সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর বিরোধী দলগুলি নির্বাচনের জন্য অপ্রস্তুত হয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেছে । এতে তাদের নির্বাচনে ভীতি প্রমাণিত হয় ।’
এদিকে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) সাফ জানিয়ে দিয়েছে তিন মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা করা অসম্ভব । কারন হিসাবে জানানো হয়েছে,সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য নুন্যতম ৬ মাস লাগবে। খাইবার পাখতুনখাওয়ায় ২৬ তম সংশোধনীর অধীনে আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন জেলা এবং নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক ভোটার তালিকা তৈরির জন্য ন্যূনতম তিন মাস সময় লাগবে । এছাড়া ব্যালট পেপারের ব্যবস্থা এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়ারও ব্যাপার রয়েছে। পাকিস্তানের আইনে নির্বাচনে যে ব্যালট পেপার ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে, তা দেশে পাওয়া যায় না। আমদানি করতে হবে । পাশাপাশি আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত বিষয়ের ঠিকঠাক আয়োজন করতেও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ।।