এইদিন ওয়েবডেস্ক,হায়দ্রাবাদ,২৪ জানুয়ারী : ভারত সম্পর্কে অপপ্রচার চালাতে অভ্যস্ত ব্রিটেনের সংবাদ মাধ্যম ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের বা বিবিসি । এবার ওই সংবাদ মাধ্যম গুজরাট দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে “ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন” নামে একটি অপপ্রচারমূলক তথ্যচিত্র তৈরি করেছে । যেটিকে ভারতের বিদেশমন্ত্রক “ঔপনিবেশিক মানসিকতা”র (colonial mindset) প্রতিফলন হিসাবে বর্ণনা করেছে । এদিকে এই তথ্যচিত্রকে হাতিয়ার করে আসরে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস-এর মত মোদী বিরোধী রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি মৌলবাদী সংগঠনগুলি । হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমনই একটি ছাত্র গোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপর নির্মিত বিবিসির ওই বিতর্কিত ডকুমেন্টারি দেখানোর ব্যবস্থা করেছিল । যা ঘিরে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে ।
ভারতের সুপ্রীম কোর্টে গুজরাট দাঙ্গা মামলা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অব্যাহতি দিলেও বিবিসির নজরে ওই ঘটনায় তিনি দোষী । আর তাদের তথ্যচিত্রে তারা সেটাই প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠছে । ওই তথ্যচিত্রের প্রথম পর্বের একটি ক্লিপ ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । খবরে বলা হয়েছে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক ইউটিউব এবং টুইটারকে ভিডিওটি ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে। এই ভিডিও সম্পর্কিত প্রায় ৫০ টি টুইট ব্লক করা হয়েছে। ২০২১ সালের আইটি নিয়ম- এর জরুরি ক্ষমতার অধীনে আদেশটি জারি করা হয়েছিল । ডকুমেন্টারিটি ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটাকে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে মানহানি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে । এই ব্যাপারে ভারতীয় নেতা ও সমাজের একাংশের মানুষ বিরোধিতাও করেছে । কিন্তু কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ সত্ত্বেও বিতর্কিত ডকুমেন্টারিটি এখনও অনেক ওয়েবসাইটে বিদ্যমান রয়েছে । যার ফলে দর্শকরা সহজেই সেটি দেখতে পাচ্ছে ।
মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি করার উদ্দেশ্যে হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের একটি দল হায়দ্রাবাদ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে এই বিতর্কিত তথ্যচিত্রটি দেখানোর ব্যবস্থা করেছিল । হায়দরাবাদ পুলিশ জানিয়েছে,ঘটনাটি পুলিশের নজরে এসেছে। এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে তদন্ত শুরু করা হবে ।
অন্যদিকে গত ২৪ জানুয়ারী দিল্লির জহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটি (জেএনইউ) ক্যাম্পাসে তথ্যচিত্রটি দেখানোর চেষ্টা করেছিল বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির ছাত্র সংগঠনগুলি । কিন্তু পুলিশের হস্তক্ষেপে অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়ে যায় । জেএনইউ প্রশাসন বলেছে যে এই ধরনের অননুমোদিত কার্যকলাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সম্প্রীতিকে ব্যাহত করতে পারে ।।