শেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৫ জুলাই : সন্তান না হওয়ার কারনে বিয়ের দু’এক বছর পর থেকেই শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছে স্বামী । সম্প্রতি সংসার করব না বলে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন । স্বামীর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার কুমারুন গ্রামের গৃহবধু পূর্ণিমা মাঝি । সোমবার এনিয়ে তিনি তাঁর স্বামী তাপস মাঝির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । তাঁর অভিযোগ, স্বামীর অত্যাচারের জেরে বিগত এক মাস ধরে তিনি বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন । যদিও স্ত্রীর উপর নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাপসবাবু । পুলিশ জানিয়েছে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
জানা গেছে,ভাতার থানার শ্রীপুর গ্রামে বাপের বাড়ি পূর্ণিমা মাঝির । বছর ২০ আগে কুমারন গ্রামের বাসিন্দা কালী মাঝির ছেলে তাপস মাঝির সঙ্গে দেখাশোনা করে তাঁর বিয়ে হয় । পূর্নীমাদেবী জানিয়েছেন, বিয়েতে ১৫ হাজার টাকা নগদ ও দানপত্র যৌতুক হিসাবে দিয়েছিলে তাঁর বাবা । তাঁর অভিযোগ, ‘বিয়ের দু’এক বছর পর থেকেই স্বামীর অত্যাচার শুরু হয় । মানসিক অত্যাচার তো ছিলই,তার সঙ্গে চলে শারিরীক অত্যাচার । প্রায় দিনই মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে এসে তাঁকে ব্যাপক মারধর করে । কারন জিজ্ঞাসা করলে বলে ‘তুই আমাকে একটা সন্তান দিতে পারলি না । তোর সঙ্গে আর ঘর করব না ।’
পূর্ণিমাদেবী বলেন, ‘অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে মাস খানেক আগে আমি বাপের বাড়ি শ্রীপুর গ্রামে চলে এসেছি । তারপর থেকে ওখানেই রয়েছি । কিন্তু আমার স্বামী কোনও খোঁজখবর নেয় না । ফোন করলে আমায় গালিগালাজ দিচ্ছে । সেই সঙ্গে আমায় আর নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ।’ এদিন এনিয়ে তিনি ভাতার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । বধুর সন্দেহ তাঁর স্বামী কোনও পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে আছে । অভিযুক্তের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ ।।