এইদিন ওয়েবডেস্ক,পিলিভিট(উত্তরপ্রদেশ),১১ ডিসেম্বর : খাবারে চুল থাকায় স্ত্রীর হাত-পা মুখ বেঁধে নির্যাতনের পর ন্যাড়া করে দিল স্বামী । আর ওই ঘটনা দাঁড়িয়ে দেখলো পরিবারের বাকি লোকজন । এই অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের পিলভিট জেলার গজরৌলা থানা এলাকায় । নির্যাতিতা গৃহবধু সীমা এনিয়ে তাঁর স্বামী নানহে বক্স,দেবর জামারউদ্দিন ও শাশুড়ি জিলেখা খাতুনের বিরুদ্ধে গজরৌলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । অভিযোগের ভিত্তিতে মহিলার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
জানা গেছে,পিলিভিট জেলার পুরানপুর কোতোয়ালি এলাকার দুদা গ্রামে বাপের বাড়ি সীমার । চলতি বছরের ২২ জানুয়ারী গজরৌলা এলাকার মিলাক গ্রামের বাসিন্দা জহিরুদ্দিনের ছেলে নানহে বক্সের সঙ্গে তার দেখাশোনা করে বিয়ে হয়েছিল । বধুর অভিযোগ,বিয়ের সময় পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন । তা দিতে না পারায় মদ্যপ অবস্থায় স্বামী তাঁকে প্রতিদিন মারধর করত । এমনকি শ্বশুরবাড়ির লোকজনও তাঁকে মারধর করত । দেওর তার শ্লীলতাহানি পর্যন্ত করে । এরপর অক্টোবর মাসে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় । যদিও কিছুদিন পর তিনি শ্বশুরবাড়িতে ফের ফিরে আসেন ।
পুলিশের কাছে অভিযোগে ওই গৃহবধূ জানিয়েছেন, একদিন স্বামী রাতের খাবার খাচ্ছিলেন । সেই সময় খাবারে চুল বেরিয়ে আসে । তার সেই অপরাধে স্বামী তাঁকে গালিগালাজ শুরু করে । তারপর তার হাত-পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতন করে । প্রতিবাদ করলে মারধর করে স্বামী । স্বামীর হাত থেকে বাঁচানোর পরিবর্তে দেবর জামারউদ্দিন ও শাশুড়ি জিলেখা খাতুন সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব দেখে । স্বামীকে তারা আরও উসকানি দেয় । তাঁর আরও অভিযোগ,পরে বাবার বাড়ির লোকজনদের ডেকে এনে মারধর ও হুমকি দেয় স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন । যৌতুক হিসেবে তারা নগদ টাকা দাবি করে ।
গজরৌলা থানার পরিদর্শক আশুতোষ রঘুবংশী জানিয়েছেন, স্বামী, শ্যালক ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে । বাকি অভিযুক্তদের সন্ধান চলছে ।।