এইদিন ওয়েবডেস্ক,পশ্চিম মেদিনীপুর,১২ এপ্রিল : প্রেমিকের সাথে পালানো বধূর ৪ বছরের ছেলেকে দিয়ে শ্রাদ্ধ করালেন স্বামী । পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার ঘটনা । মাথা মুন্ডিত ছেলের শ্রাদ্ধের কাজ করার ভিডিও ও ছবি শেয়ার করে ঘটনার কথা ফেসবুকে জানিয়েছেন খোদ স্বামী অভ্রজিৎ ঘোষ । তিনি লিখেছেন,’আমাদের সাত বছরের সংসার এক রাতেই সে শেষ করে দিলো। যে তার গর্ভে ধরা সন্তানকে অস্বিকার করে সে কখনও মা হতে পারে না। তাই আমার ছেলে তার মায়ের শেষ কার্য সম্পূর্ণ করলো। আলো বিশাল ঘোষ ।’ দেখুন ভিডিও 👇
জানা গেছে, বছর সাতেক আগে গড়বেতার দারখোলা গ্রামের বাসিন্দা অভ্রজিৎ ঘোষের সঙ্গে প্রেম বিবাহ হয়েছিল আলো বিশ্বাসের। তাদের চার বছরের একটা পুত্র সন্তান রয়েছে । অভিজিতের বাবা স্বপন ঘোষ বলেন,দিন কয়েক আগে আলো ও নাতিকে সঙ্গে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম । তাদের হাতে কয়েকটা নারু ধরিয়ে দিয়ে এক জায়গায় বসিয়ে রেখে আমি দোকানে পান কিনতে গিয়েছিলাম । ফিরে এসে দেখি আলো নাই । ফোনের সুইচ অফ । পরে বিষয়টা জানতে পারি ।’ তিনি বলেন,’দেখছেন তো শিশুটার চোখের জল । মেয়ে ভাবতাম৷ কোন কিছু ভেবে পাচ্ছি না । ওকে কি করে রাখবো ? যতই বলুক ওর কাছে আমি আর ছেলে পাঠাবো না। আমার জীবন চলে গেলেও ছেলেকে দেবো না। আমার যা সম্পত্তি আছে সব ছেলের নামে করে দেবো। আমি ওকে ছেড়ে দেবো না ৷ ও ছেলেটাকে মেরে দিতে পারে । আমরা জানি ও মরে গেছে । বৌমার বাবা-মা ও বলছে ও মরে গেছে ধরে নিন৷’
অভিজিতের মা বলেন,’এখন ছেলেটা মা মা করে প্রচুর কান্নাকাটি করছে । তাকে ভোলানো যাচ্ছে না । খাওয়া দাওয়া করছেনা । তাই ছেলেটাকে বোঝানোর জন্য ওর মায়ের শ্রাদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছি আমরা । তাতে ছেলেটা বুঝবে যে ওর মা মারা গেছে আর ফিরে আসবেনা । আর সে বলেও দিয়েছে যে ছেলের প্রতি আমার মায়া নাই ।’ তিনিও জানান যে একটা ছেলের সঙ্গে তার বৌমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং তার সঙ্গেই পালিয়ে গেছে । বৌমাকে আনতে তারা সেই যুবকের বাড়িতেও গিয়েছিলেন৷ কিন্তু বৌমা ফিরে আসতে অস্বীকার করে
প্রতিবেশী বৃদ্ধ অজয় উকিল বলেন,’আমাকে দাদু বলতো মেয়েটা । প্রচুর ইয়ার্কি ফাজলামো করতাম । কিছুই বুঝতে পারিনি, ভাই । আজ ৮-১০ দিন যাবত কথা বলছিল না । আমার ৭৭-৭৮ বছর বয়স আমার জ্ঞানে এই প্রথম এই রকম ঘটনা দেখলাম ।’ তিনি বলেন,’আগে আমরা দেখেছি একটা ছেলের বয়স হতো ৪০ আর একটা মেয়ের বয়স হত ১২ বছর, সেও তো সংসারটা মানিয়ে নিয়ে চলেছে । এটা একেবারে অসম্ভব জিনিস, কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না৷ এটা বাচ্চা ছেলেকে ছেড়ে চলে যাবে, ভাবা যাচ্ছে না । এখন মৃত বলেই ভেবে নিয়েছি আর কি করবো ? ওইটুকু বাচ্চাকে যদি ছেড়ে চলে যেতে পারে তাহলে তাকে মৃত বলেই ভাবতে হবে ।’।

