এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেলগাভি(কর্ণাটক),২৬ জুন : স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন এক বধূ । কিন্তু প্রেমিকের সঙ্গে মিলনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল স্বামী । তার জেরে প্রেমিকের সাথে ষড়যন্ত্র করে স্বামীকে খুন করে স্ত্রী । থানায় নিখোঁজ ডাইরি করে স্বামীকে দুশ্চরিত্র সাজিয়ে গল্প ফাঁদে ওই ধূর্ত মহিলা । কিন্তু শেষ রক্ষা হল না । খুনের ঘটনার তিন মাস পর অবশেষে পুলিশের জালে প্রেমিকসহ ধরা পড়ে গেলের ওই বধূ । খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে বধূর প্রেমিকের দুই বন্ধুও । ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেলগাভি জেলার বেলগাঁওয়ের আম্বেদকর নগরে । গত শনিবার মৃত রমেশ কাম্বলের (৩৮) স্ত্রী সন্ধ্যা কাম্বলে, তার প্রেমিক অশোক বিরজে, জয় ওরফে সোনু মোহন সাসানে এবং নীতেশ মহাদেবকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
পুলিশ জানিয়েছে,বেলগাঁওয়ের আম্বেদকর নগরের বাসিন্দা রমেশ কাম্বলের স্ত্রী সন্ধ্যা একই এলাকার বাসিন্দা অশোক বিরজের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন । কিন্তু বিষয়টি জানতে পেরে যান রমেশ । এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হত । অশান্তি চরমে উঠলে প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে স্বামীকে খুনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন ওই মহিলা । এরপর একদিন রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে স্বামীকে খেতে দেন সন্ধ্যা কাম্বলে । স্বামী ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন সন্ধ্যা । এরপর প্রেমিক ও প্রেমিকের দুই বন্ধুর সহযোগিতায় স্বামীর দেহটিকে একটি গাড়িতে তুলে চোরলা ঘাট জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসেন ।
পুলিশ জানিয়েছে,পরের দিন থানায় একটা নিখোঁজ ডাইরি করেন সন্ধ্যা কাম্বলে । পুলিশকে তিনি জানান, এবিষয়ে কিছুই জানেন না । পরে তিনি ভান করেন যে তার স্বামী অন্য মহিলার সাথে পালিয়ে গেছে । কিন্তু সন্ধ্যাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি একাধিকবার বক্তব্য পাল্টানোয় সন্দেহ হয় পুলিশের । পরে পুলিশ তাকে তাদের স্টাইলে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বামীকে খুনের কথা কবুল করেন । অবশেষে তিন মাস পর, সার্কেল পুলিশ ইন্সপেক্টর সুনীল পাতিলের নেতৃত্বে পুলিশের দল খুনের মামলাটি ফাইল করে এবং চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। তবে রমেশের মৃতদেহ এখনো পাওয়া যায়নি । খুনের ঘটনার এতদিন পরে দেহাংশ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে মনে করছে পুলিশ ।।