এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৩ এপ্রিল : সপ্তাহ দেড়েক আগে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার কোশিগ্রামে শ্বশুরবাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল কাকলী বন্দ্যোপাধ্যায়(২১) নামে এক গৃহবধুর । এই ঘটনায় বধুর স্বামীকে গ্রেফতার করল ভাতার থানার পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম তপন বন্দ্যোপাধ্যায় (২৮) । সোমবার রাতে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয় ৷
জানা গেছে, মঙ্গলকোটের বটগ্রামের বাসিন্দা শীতল চক্রবর্তীর মেয়ে কাকলীদেবীর । বছর পাঁচেক আগে ভাতারের কোশিগ্রামের বাসিন্দা তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দেখাশোনা করে বিয়ে হয়েছিল । তাঁদের সাড়ে তিন বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে । মৃতার বাবা শীতল চক্রবর্তীর অভিযোগ অতিরিক্ত পনের দাবিতে তাঁর মেয়ের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল তপন । এরপর গত ৪ এপ্রিল তাঁরা খবর পান শ্বশুরবাড়িতে গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে মেয়ে । মেয়েকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । খবর পেয়েই তাঁরা তড়িঘড়ি বর্ধমান হাসপাতালে যান । সেখানে গিয়ে তাঁরা কাকলীদেবীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেখতে পান।
জানা গেছে,হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দিন দুয়েক পড়েই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় কাকলীদেবীর । গত শনিবার মৃতার বাবা এনিয়ে ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । তাঁর অভিযোগ,অতিরিক্ত পনের দাবিতে প্রতিনিয়ত অত্যাচার চালাত তাঁর জামাই । সেই নির্যাতন সহ্য না করতে পেরেই তাঁর আত্মঘাতী হয়েছে ।
অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতে এলাকা থেকে তপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ । পুলিশ ধৃতের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে ।।