এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২২ মে : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে এক আদিবাসী বধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে । স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত স্বামীকে আটকে রেখে ভাতার থানায় খবর দেয় । পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় । ঘটনাটি ঘটেছে ভাতার থানার নৃসিংহপুর গ্রামে । পুলিশ জানিয়েছে,মৃতার নাম লক্ষী হেমব্রম ( ২৬)। আজ বৃহস্পতিবার বাড়ির শোবার ঘর থেকে মহিলার নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ । পরে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় দেহটি । পুলিশ মৃতার স্বামী বাবুলাল হেমব্রমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ।
জানা গেছে,ভাতারের খুড়ুল গ্রামে বাপের বাড়ি লক্ষী হেমব্রমের । লক্ষীর বিয়ের আগেই তার বাবা মারা যান । বছর দশেক আগে বিধবা মা সুমি মাড্ডি দেখাশোনা করে ভাতার থানার এরুয়ার গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার নৃসিংহপুর আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা বাবুলাল হেমব্রমের সঙ্গে লক্ষীর বিয়ে দেন । লক্ষী-বাবুলালের দুই মেয়ে ও এক ছেলে আছে । তারা সকলেই নাবালক । দম্পতি জনমজুরি করে সংসার চালাতেন । তবে ওই তিন শিশু এদিন বাড়িতে ছিল না । আগের দিন তারা ভাতারের পুরুলে গ্রামে বাবুলালের দিদির বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছে ।
জানা গেছে, আজ সকালে বাবুলাল প্রতিবেশীদের জানায় যে তার স্ত্রী হৃদরোগে মারা গেছে । প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখে ঘরের মেঝেতে শোওয়ানো রয়েছে লক্ষী হেমব্রমের নিথর দেহ । মৃত বধূর দিদি গৌরি মুর্মু বলেন,’আমরা গিয়ে দেখতে পাই লক্ষীর গলায় কালোদাগ রয়েছে । বুঝতে পারি যে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ।’ জানা গেছে, মৃতা বধুর গলায় কালসিটে দাগ দেখে প্রতিবেশীরা বাবুলালকে চেপে ধরে । শেষ পর্যন্ত সে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের কথা কবুল করে । এরপর ভাতার থানায় খবর দিলে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে ।।

