দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১৫ ডিসেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার বছর ছাব্বিশের গৃহবধূ পলি কোঁয়ার(দত্ত)কে খুনের অভিযোগে বধুর স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করল পুলিশ । ধৃতদের নাম চন্দ্রশেখর দত্ত(২৯) ওরফে চাঁদ এবং সলিল দত্ত(৬৭) ওরফে তিনকড়ি ।ধৃতদের বাড়ি কাটোয়ার থানার দুর্গাগ্রামে হলেও তারা কাটোয়া স্টেডিয়ামপাড়ায় থাকতেন । বুধবার রাতে বাবা-ছেলেকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয় ।
কাটোয়া পুরসভার ন্যাশনালপাড়ার বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী প্রদীপ কোঁয়ারের মেজ মেয়ে পলিদেবী । দুর্গাগ্রামের বাসিন্দা পেশায় প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক চন্দ্রশেখর দত্তর সঙ্গে পলিদেবীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল । উভয় পরিবারের সম্মতিতে বছর তিনেক আগে তাঁদের বিয়ে হয় । বর্তমানে তাঁদের দু’বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে ।
মৃতার বাবা প্রদীপবাবুর অভিযোগ,মেয়ের প্রেমবিবাহ হলেও বরপক্ষের দাবিমত পন দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি । তারপরেও অতিরিক্ত পনের দাবিতে তাঁর মেয়ের উপর শারিরীক ও মানসিক অত্যাচার চালাতো জামাই ও তার বাবা-মা । এরপর বুধবার বিকেল প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ চন্দ্রশেখরের ফোন পেয়ে স্টেডিয়ামপাড়ায় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যান তাঁরা । গিয়ে দেখেন তাঁর মেয়ে অচৈতন্য অবস্থায় ঘরের খাটের উপর পড়ে রয়েছে । ওই ঘরেই রয়েছে চন্দ্রশেখর ও তার বাবা । এরপর তিনি মেয়েকে উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাঁর মেয়েকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।
জানা গেছে,হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে কাটোয়া থানায় একটি এফআইআর রজু করেন নিহত বধুর বাবা । পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগে জানান, তাঁদের সন্দেহ স্বামী ও শ্বশুর মিলে পলিদেবীর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে ।
তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে চন্দ্রশেখর দত্ত এবং তার বাবা সলিল দত্তকে প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ । রাতের দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয় । ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন, বধূ নির্যাতন, পনের দাবিতে অত্যাচার ইত্যাদি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বধুর মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানতে এদিন মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ ।।