দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৩ ফেব্রুয়ারী : মাঠের কাজ সেরে এসে ঘরে ফিরে এসে দেখে সব খাবার ছেলেমেয়েদের খাইয়ে দিয়েছেন স্ত্রী । সেই রাগে স্ত্রীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করল ক্ষুধার্ত স্বামী । সোমবার সকাল প্রায় ১১ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার রাজিপুর গ্রামে । গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বছর তেত্রিশের মঙ্গলি মুর্মু নামে নিহত মহিলার মৃতদেহটি উদ্ধার করে আনে ভাতার থানার পুলিশ । পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় মৃতার স্বামী সুরেশ মাড্ডিকে । স্ত্রীকে খুনের কথা কবুল করেছেন অভিযুক্ত স্বামী । তিনি বলেন,’মাঠের কাজ শেষে যখন ঘরে ফিরি তখন আমার খুব ক্ষিদে পেয়ে গিয়েছিল । কিন্তু দেখি যেটুকু খাবার ছিল সব শেষ । ছেলেমেয়েদের সব খাবার খাইয়ে দিয়েছে স্ত্রী । এনিয়ে ঝগড়া হলে স্ত্রী আমাকে প্রথমে চড় মারে । তাই রাগের মাথায় এই কাজ করে ফেলেছি ।’
জানা গেছে,ঝাড়খণ্ডের দুমকায় বাড়ি সুরেশ মাড্ডি ও মঙ্গলি মুর্মুর । তাঁদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। ছোট মেয়ের বয়স ৩ বছর । স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই খেতমজুরের কাজ করেন । রাজিপুর গ্রামে এক কৃষকের বাড়িতে বোরো মরশুমে ধান রোয়ানোর কাজে এসেছিলেন ওই আদিবাসী দম্পতি । কৃষকের বাড়ির পাশে একটি চালাঘরে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল । সেখানেই তিন সন্তানকে নিয়ে ছিলেন তাঁরা ।
জানা গেছে,এদিন সকালে ওই আদিবাসী দম্পতির মধ্যে তুমুল বাকবিতন্ডা হয় । তারই মধ্যে স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও ধান কাটার কাস্তে দিয়ে কুপিয়ে খুন করে সুরেশ । পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে পুলিশ গিয়ে মুঙ্গলি মুর্মুকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় । কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । পরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় ।।