• Blog
  • Home
  • Privacy Policy
Eidin-Bengali News Portal
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
    • কলকাতা
    • জেলার খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
    • কলকাতা
    • জেলার খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ
No Result
View All Result
Eidin-Bengali News Portal
No Result
View All Result

আউশগ্রাম ও মঙ্গলকোটে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হল হুল দিবস

Eidin by Eidin
June 30, 2022
in রকমারি খবর
আউশগ্রাম ও মঙ্গলকোটে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হল হুল দিবস
আউশগ্রামে হুল দিবস পালন । বৃহস্পতিবার ।
6
SHARES
86
VIEWS
Share on FacebookShare on TwitterShare on Whatsapp

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,বর্ধমান,৩০ জুন : যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে আউসগ্রাম ২ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে ভাল্কি অঞ্চলের মোলডাঙায় পালিত হয় হুল দিবস। নিজেদের চির পরিচিত ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত হয়ে আশেপাশের গ্রামের সাঁওতালারা জড়ো হন মোলডাঙায়। হাতে থাকে তীর-ধনুক। মাদলের তালে নেচে ওঠে সাঁওতাল রমণীরা। তাদের সঙ্গে মাদল বাজিয়ে পা-মেলাতে দেখা যায় আউসগ্রাম ২ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি অরূপ মিদ্দাকে। যদিও এবার প্রথম নয় দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আসছেন। অরূপবাবু বললেন,’আমরা এমন এক রাজ্যের বাসিন্দা যেখানে যেকোনো উৎসবে কার্যত একসঙ্গে মেতে উঠি। এ এক আলাদা আনন্দ।
আদিবাসী মাঝি সাঁওতার উদ্যোগে হুল দিবস পালিত হয় পূর্ব মঙ্গলকোটের চাণক অঞ্চলের সরুলিয়া কোলপাড়ায়। সেখানে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়। কখনো বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী সুমি সরেনের গানের তালে কখনো বা রেকর্ডের গানের তালে পা মেলায় সাঁওতাল রমণীরা। কচিকাচাদের নাচ উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানে সাঁওতাল সমাজের চোদ্দজন ‘মোড়ল’-কে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। এখানে বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাণক অঞ্চলের প্রাক্তন প্রধান ভুলি হেমরম ও সাঁওতাল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সাঁওতাল সমাজের নিজস্ব পতাকা উত্তোলন করেন বাজিনাথ কিস্কু। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কোল সমাজ সেবা সমিতির সভাপতি পল্টু সরেন।
অন্যদিকে হুল দিবস উপলক্ষ্যে বনপাস কামারপাড়ায় সাঁওতাল রমণীদের সঙ্গে মাদলের তালে নৃত্য করতে দেখা যায় এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক সুভাষ মণ্ডলকে। তিনি বললেন,’অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে খুব আনন্দ লাগছিল ।’
ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের উদ্যোগে সুসজ্জিত সাঁওতাল নারী-পুরুষদের একটি পদযাত্রা বের হয় গুসকরা স্কুলমোড় থেকে এবং শেষ হয় ১৪ নং ওয়ার্ডের আলুটিয়া মাঠে। পদযাত্রায় পা মেলান পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী, কাউন্সিলর সাধনা কোনার, বাবুলাল মার্ডি ও যমুনা শিকারী। পরে আলুটিয়া যোগ দেন অন্যান্য ভাইস চেয়ারম্যান বেলি বেগম সহ অন্যান্য কাউন্সিলররা এবং গুসকরা বিট হাউসের ওসি অরুণ কুমার সোম। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে সাঁওতালি রীতিতে তাদের বরণ করে নেওয়া হয়। এছাড়াও বরণ করা হয় সাঁওতালি সমাজের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে। এখানে সাঁওতালি সমাজের পতাকা উত্তোলন করেন কুশল মুখার্জ্জী। এখানেও একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাবুলাল মার্ডি বলেন ‘আজকের এই দিনটার জন্য আমরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি।’
৩০ শে জুন তারিখটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। ইতিহাসে এই দিনটি হুল দিবস বা সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস নামে পরিচিত। ‘হুল’ শব্দের অর্থ হলো ‘বিদ্রোহ’। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে সরল,সাধাসিধে সাঁওতালদের আবেগ । নিজেদের স্বাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য স্থানীয় জমিদার, সুদখোর মহাজন ও ইংরেজদের রাজস্ব নীতির বিরুদ্ধে সাঁওতালদের ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রামের নাম হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ ।
পাহাড় ও জঙ্গল ঘেরা দামিন-ই কোহ অঞ্চলে নিজেদের স্বতন্ত্রতা বজায় রেখে বাস করত সাঁওতালরা। কৃষিকাজ ছিল তাদের প্রধান জীবিকা। এরজন্য তারা কাউকে রাজস্ব দিত না। এবার সেই দিকে নজর পরে ইংরেজ কোম্পানি এবং তাদের দোসর স্থানীয় জমিদার ও সুদখোর মহাজনদের। রাজস্ব আদায়ের নামে তারা সাঁওতালদের উপর নির্মম অত্যাচার শুরু করে। তাদের অত্যাচারের হাত থেকে বাড়ির মেয়েরা পর্যন্ত রেহাই পায়নি। বাধ্য হয়ে তারা ইংরেজ, জমিদার ও সুদখোর মহাজনদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে। এই বিদ্রোহের নেতৃত্বে ছিলেন সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব। সঙ্গে ছিল দুই বোন ফুলমণি মুরমু ও ঝানো মুরমু। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে আশেপাশের ৪০০ টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার সাঁওতাল ভাগনাডিহি মাঠে জড়ো হয় এবং কলকাতার অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করে। ভারতের ইতিহাসে এটাই ছিল প্রথম গণপদযাত্রা।
১৮৫৫ সালের ৩০ জুন যুদ্ধ শুরু হয় । সাওতাঁলরা তাদের পরিচিত তীর-ধনুক ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মরণপণ সংগ্রাম করলেও শেষ পর্যন্ত আট মাস পর ইংরেজ বাহিনীর আধুনিক বন্দুক ও কামানের কাছে হেরে যায় । ইংরেজরা ফুলমণি মুর্মুকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করে তাঁর লাশ রেললাইনের ধারে ফেলে রেখে যায়। প্রসঙ্গত এই ফুলমনিকে নিয়ে সাঁওতালদের গান রয়েছে। ইতিহাসের প্রথম বীরাঙ্গনা হিসেবে সাঁওতালরা আজও তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। ইংরেজদের সঙ্গে লড়াইয়ে সিধু নিহত হন এবং কানুকে ফাঁসি দেওয়া হয়। যুদ্ধে চাঁদ মুর্মু ও ভৈরব মুর্মু প্রাণ হারান।
যুদ্ধে সাঁওতালরা পরাজয় বরণ করলেও ইংরেজ ও তার দোসরদের কাছে আত্মসমর্পণ করেনি। তাইতো ১৬৭ বছর পরও বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষ আজও সাঁওতাল বীর সিধু-কানুদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ৩০ শে জুন দিনটি পালিত হয় হুল দিবস হিসাবে ।।

Previous Post

মা সারদার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর তুলনাকে ‘মর্যাদাহানীকর’ ও ‘নজিরবিহীন’ বলে প্রতিক্রিয়া জানালো রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন

Next Post

স্বেচ্ছায় রক্তদানের আহ্বানে গুসকরায় এলেন হুগলির যুবক

Next Post
স্বেচ্ছায় রক্তদানের আহ্বানে গুসকরায় এলেন হুগলির যুবক

স্বেচ্ছায় রক্তদানের আহ্বানে গুসকরায় এলেন হুগলির যুবক

No Result
View All Result

Recent Posts

  • এফআইআর বাতিল চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কার্তিক মহারাজ
  • ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল ইন্টার মিলান
  • জাহাজের ৪ তলা থেকে সমুদ্রে পড়ে গিয়েছিল শিশুকন্যা, তারপর এই ভয়ঙ্কর কান্ড ঘটালেন বাবা
  • পাকিস্তানপ্রেমী অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহের নিন্দা করলেন পরিচালক অশোক পণ্ডিত
  • তেলেঙ্গানায় ওষুধ কারখানায় বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ ; নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ

© 2023 Eidin all rights reserved.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
    • কলকাতা
    • জেলার খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ

© 2023 Eidin all rights reserved.