আগুনেরও ক্ষুধা আছে
রসদ হজম করে ছাইয়ের গন্ধ শুঁকে
মাটির ফাটলের বুকে।
শরীরময় অসংখ্য জখমি ক্ষত
সমাজের ঘৃণ্য ক্ষতে রক্ত চোষা পোকাগুলো কিলবিল রত।
রাজপথ দৌড়ে বেড়ায় এলিটদের জন্য…
ভাঙাচোরা ফুটপাথ,
কাঁদে সারারাত।
বৃষ্টিভেজা সোঁদা গন্ধ মেখে,
তেল চিটচিটে নিকষ রুগ্ন শরীরে।
ছেঁড়া নীল চাঁদোয়ার নীচে,
ওরাও ঝড়ের ঠিকানা খোঁজে।
পেট কাঁদে,ঢোক গিলে ক্ষিধে মেরে চাপা দেয় পাথর।
ক্ষুধার আগুনে জ্বলে অমানিশায় আলো নুন ভাতের ভালোবাসায় ওরা অন্ধ ।
তুমুল বৃষ্টিধারায় নিকাশির জলে ওদের স্বপ্ন ভেসে যায় , শোঁকে ভুখা পেটের গন্ধ।
স্মৃতির দেওয়াল জুড়ে জমে দ্রোহ ,
শ্মশানে হারিয়ে গেছে নিরন্ন উদর,
সন্তান হারা পাগল মা’য়ের অন্তর্দাহ।
ওরা রক্তে লেখে যন্ত্রণা ,সুখে দুঃখে
আগুনের গান বাজে অমর কাব্য বুকে।
মানী জ্ঞানী বাবুদের তিরস্কার স্তরে স্তরে গা’য়ে মাখে,
স্বরাজ খুঁটে খায়, ক্ষুধার অন্ন কাঁদে ট্যাঁকে। ।
বুকে রাত জ্বলা জ্বালা, বিজলির আলো চমকায়,
আঁতিপাঁতি খোঁজে সারারাত, তারাদের মত আর কোন আকাশ যদি পায় ।।