দূরত্ব বাড়ছে
কতটা?
যতটা বাড়লে নোংরাটাকে
স্পর্শ করা যায়।
যতটা বাড়লে ছিঁড়ে ফেলা যায়
সম্পর্কের দড়িটাকে।
ঠিক ততটা।
তাই বুঝি
দূরত্বের এতো ক্ষমতা
আচ্ছা দূরত্বটাকে মেপেছো?
কি দিয়ে?
এই ধরো তোমার মনখারাপ দিয়ে।
তোমার না ভালোলাগা সময় দিয়ে।
জানো !
এই দূরত্বের একক কি?
দীর্ঘনিঃশ্বাস
যে নিঃশ্বাসের উপর ভর করেই
মানুষ বিস্তার করে আশা।
তার দৈর্ঘ্য বাড়লে তেল নিঃশেষ হওয়া
প্রদীপের মত আশার হয় মরণ।
দূরত্বই তো প্রেম।
দূরত্বই তো আকর্ষণ।
বৈষ্ণব সাহিত্যের পাতা উল্টাও
দেখো রাধা-কৃষ্ণকে
প্রবেশ করো ভূগোলের মহাকাশে
দেখো চাঁদ-সূর্য-পৃথিবী কে!
মিলনের আশায় পর্বত থেকে
হাজার হাজার নদী ছুটে চলে সমুদ্রে।
যে মন নিয়ে আকাশ থেকে
বৃষ্টি ঝরে মাটির বুকে।
দূরত্বটাকে ব্যাবহার করো
প্রেম দিয়ে ,আকর্ষণ দিয়ে।
হয়ে ওঠো আদর্শ প্রেমিক,
আদর্শ প্রেমিকা।
চারিদিকে সম্পর্কের ছেঁড়া জাল;
একে অপরের দৃষ্টি তীর্যক,
বিশ্বাস নামক শব্দটা যখন বাষ্পীভূত।
ঠিক তখন আমি খুঁজে চলেছি
মন নামক লাশের পোস্টমর্টেমের সুতোর গিঁট।
খুলতে পারছি না
ভালোবাসা দিয়েও বুঝতে পারছি না
ভালোবাসার অর্থ।
ভুল হয়,প্রেম হয়,আবার ভুল হয়।
মনে দ্বন্দ্ব থাকে ‘তখন’ আর ‘এখন’এর।
তখন প্রেম ছিল
মন নামক পাড় দিয়ে ঘেরা নদী,
চড়াই জয় করেই পাওয়া যেত জল।
আর এখন প্রেমকে দাঁড় করিয়েছি
সুবিস্তীর্ণ সমুদ্রে।
সেখানে মন নামক পার নেই,
আছে শরীর নামক জলোচ্ছ্বাস।
কত সহজেই ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে প্রেমিক,
আবার কত সহজেই সে হাঁপিয়ে উঠতে পারে।
মন চন্দ্রবিন্দু চাঁদের মতো
মাত্রার দোতালায় বসে ডুকরে ডুকরে কাঁদে
আর নিচের তলার
ছিটকিনি লাগানো ঘরে তখন চলে
যুক্ত ব্যঞ্জনের নোংরামো।।