এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,১২ এপ্রিল : কোনো ‘মুসলিম নভোচারী মহাকাশে গেলে কিভাবে নামাজ পড়বেন ?’ কোরান অনুসারীদের কাছে এমনই প্রশ্ন তুললেন বাংলাদেশের মুক্তমনা ব্লগার আদাদ নূর । মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক পেজে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সুলতান আল-নিয়াদি নামে এক মুসলিম নভোচারীর ছবি নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করে আসাদ নূর লিখেছেন, ‘কোরআনের অনুসারীদের কাছে প্রশ্ন। মহাকাশে একজন নভোচারী প্রতি ৪৫ মিনিটেই সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতে পান। অর্থাৎ ২৪ ঘন্টায় কমপক্ষে ১৬ টি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখে থাকেন।
এই এপ্রিলের ৭ তারিখ স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটে চড়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) গেলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সুলতান আল-নিয়াদি নামক এই মুসলিম নভোচারী । প্রশ্ন হচ্ছে, এই মুসলিম নভোচারী নামাজ কিভাবে পড়বেন? রোজা কিভাবে রাখবেন? মানে, সেহেরি ইফতার কখন করবেন?
‘পরিপূর্ণ জীবন বিধান’ আল-কোআনের আলোকে এই ব্যাপারে সঠিক ব্যাখ্যা কী হবে ?’
এই পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় মহম্মদ আরিফুল ইসলাম আরিফ নামে এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘আল্লাহতালা পৃথিবীর জন্য তার আদেশ পরিচালনা করতে বলেছেন । মঙ্গল গ্রহের জন্য নয় । অন্য গ্রহের জন্য নয় ।’ আসাদ নূর তখন তাকে পালটা প্রশ্ন করেন,’ আচ্ছা ! পৃথিবীর বাইরে আল্লার টাওয়ার নেই ?’
মহাকাশে রোজা রাখার বিষয়ে নজরুল খান নামে এক ব্যবহারকারী বাখ্যা করেছেন, ‘তিনি তখন মুসাফির হবেন। তাই মহাকাশে থাকায় তাঁর রোজা রাখার প্রয়োজন হবে না অর্থাৎ রোজা রাখা তার জন্য বাধ্যতামূলক হবে না। এমনকি কেউ যদি ভালো বোধ না করে, তাহলেও তাঁর জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয়। আর কেউ চাইলে গ্রীনউইচ সময় অনুযায়ী করতে পারবেন। পৃথিবীতেই দেশে ভেদে সময়ের ভেদ থাকে। আর সেই ভেদের মধ্যেই নামাজ ও রোজা পালিত হয়। আম জনতার নিকট সকল প্রশ্নের উত্তর কামনা করা মানে নিজের অজ্ঞতা বা বোকামী প্রকাশ করা। কারণ ইসলামি রিসার্চ সেন্টারে এর ব্যাখ্যা চাওয়া উচিত। নাস্তিকরা ভাবে এ বুঝি নাস্তিক মতবাদের সঠিক রাস্তা পেয়ে গেছি! কারণ ফেরাউনের শাস্তির হতাশা থেকে বাঁচার জন্য মাঝে মাঝে ইসলামের ভুলতো ধরতেই হবে। ধন্যবাদ !’ এর উত্তরে আসাদ নূর লেখেন,’হ্যাঁ মুসাফির হয়ে মক্কা মদিনায় গিয়ে হজ্জ করে, নামাজ পড়ে।’
অবশ্য অনেক ব্যবহারকারীরা আসাদ নূরের ভাবনাকে সমর্থন করেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম নিনা আহমেদ নামে এক মহিলা । তিনি লেখেন,’পাঁচ ওয়াক্ত নামায কিভাবে পরবেন ? মেরু অঞ্চলে যারা ছয়মাস সুর্য দেখেন বা ছয়মাস অন্ধকারে থাকেন তারা কিভাবে নামাজ রোজা করবেন তার কোন নির্দেশনা কোরান হাদিসে নাই । এরকম যে হতে পারে তাই নবী ও আললাহ্ জানতেন না ।’।