দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৬ মে : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় ভাড়া বাড়িতে আসার ২৪ ঘন্টার মধ্যে রহস্যজনক ভাবে খুন হলেন এক গৃহবধূ । শুক্রবার সকালে কাটোয়ার ঘোষহাট পালপাড়ায় একটি টালির ছাউনি দেওয়া ঘরের বিছানায় বছর ত্রিশের ওই বধূর গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ । মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় একটি প্যান কার্ড । প্যানকার্ডটি নিহত বধূরই বলে জানতে পেরেছে পুলিশ । প্যানকার্ড অনুযায়ী মৃতা বধূর নাম সুমিত্রা পণ্ডিত । প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময়ে ওই বধুকে খুন করা হয়েছে । এদিকে বধূর সঙ্গে আসা স্বামীর পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি চম্পট দিয়েছে । ওই ব্যক্তি নিজেকে ‘সন্টু’ বলে পরিচয় দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন বাড়ির মালিক আঙ্গুর পণ্ডিত । পুলিশ মৃতার সঙ্গে আসা ওই ব্যক্তিকে খুঁজছে ।
জানা গেছে, আঙ্গুর পণ্ডিতের বাবার বাড়ি কাটোয়া শহরের ঘোষহাট পালপাড়ায় । তার শ্বশুরবাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীতে । আঙ্গুরদেবীর স্বামী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বহুদিন থেকেই ঘরছাড়া । তারপর থেকে তিনি বাপের বাড়িতেই রয়েছেন । আঙ্গুরদেবী জানান,পূর্বস্থলীর পিলে এলাকায় তার এক ভাগনা বিমল পণ্ডিতের বাড়ি । বিমলের সুপারিশেই তিনি ঘরটি ওই জুটিকে মাসিক ১,০০০ টাকা চুক্তিতে ভাড়া দিয়েছিলেন । বিমল জানিয়েছিল যে মৃত মহিলার সঙ্গে আসা ওই ব্যক্তি তার বন্ধু সন্টু । তারা স্বামী-স্ত্রী । বৃহস্পতিবার তারা ঘরে ঢোকে । তবে ওই পুরুষ ও মহিলা খুব সামান্য জিনিসপত্র নিয়ে এসেছিল বলে জানান আঙ্গুরদেবী । আঙ্গুরদেবী আরও জানিয়েছেন,বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে প্রচুর ঝড়জল শুরু হয় । তখন তারা ঘরেই ছিল ।
জানা গেছে, এদিন অনেক বেলা পর্যন্ত ঘর না খোলায় বাড়ির মালিক ও প্রতিবেশীরা ঘরে ঢুকতেই বিছানার মধ্যে বধুকে মুখ গুঁজে পড়ে থাকতে দেখে । মৃতার গলায় জড়ানো ছিল একটা গামছা । এদিকে এই হত্যাকাণ্ডে কতজন জড়িত এবং মৃতা বধূর সঙ্গে আসা ‘সন্টু’ নামধারী ওই ব্যক্তি আদপেই তার স্বামী কিনা তা স্পষ্ট নয় । পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ধ্রব দাস জানিয়েছেন, মৃতদেহট ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর কারন স্পষ্ট হবে । ঘটনার তদন্ত চলছে ।।