দিব্যেন্দু রায়,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),২২ সেপ্টেম্বর : বৃষ্টিপাতের সময় ঘরের দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু গৃহবধুর । গুরুতর জখম বধুর স্বামী ও ছেলে । মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার পালিগ্রামে । মৃতা গৃহবধুর নাম রাখি থাণ্ডার(৩৩) । তাঁর স্বামী সুফল থাণ্ডার ও ছেলে তন্ময় বর্তমানে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে । অন্যদিকে বুধবার আউশগ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের । মৃতের নাম নিজাম মির্জা(৫৬)। তাঁর বাড়ি আউশগ্রামের খটদরিয়াপুর গ্রামে । তিনি আউশগ্রাম-২ ব্লকের রামনগর অঞ্চলের তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতির পদে ছিলেন বলে জানা গেছে । মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ মৃতদের পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশীরা ।
জানা গেছে,পেশায় জনমজুর সুফল থাণ্ডারদের মাটির দোতলা বাড়ি । একই বাড়িতে পৃথক সংসারে থাকতেন তাঁর ভাই । বাড়িটি অনেক দিনের পুরনো । তার মাঝে বিগত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিপাতের কারনে বাড়ির দেওয়াল কমজোর হয়ে পড়েছিল । কিন্তু বিকল্প কোনও ব্যাবস্থা না থাকায় ওই বাড়িতেই তাঁরা বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছিলেন।
জানা গেছে,মঙ্গলবারে দিনভর দফায় দফায় বৃষ্টিপাত হয় । রাতে খাওয়া দাওয়ার পর সুফলবাবুরা ৩ জনে নিজেদের ঘরে ঘুমচ্ছিলেন । সেই সময় সুফলবাবুর ধরের একটা দেওয়া ভেঙে পড়ে । তিনজনেই মাটি চাপা পড়ে যান । জোর আওয়াজ পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে মাটি সরিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় । তবে তার আগেই মৃত্যু হয় রাখিদেবীর । বাকি দুই আহতর অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্ধমানে স্থানান্তরিত করা হয় ।
অন্যদিকে জানা গেছে,আউশগ্রামে খটদরিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কৃষক নিজাম মির্জা এদিন দুপুরে চাষের কাজে মাঠে গিয়েছিলেন । সেই সময় শুরু হয় বৃষ্টি ও বজ্রপাত । বৃষ্টি কমলে স্থানীয় কয়েকজনের নজরে পড়ে ওই প্রৌঢ় মাঠের মধ্যে নিস্তেজ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন । তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । বৃষ্টিপাতের সময় বজ্রপাতেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান স্থানীয় গ্রামবাসীর ।।