এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৬ জুন : রবি ও সোমবার মধ্যরাতে কলকাতার খিদিরপুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে । ভোর রাত ২.৩০- ৩ টে থেকে মোট ২৩ টি দমকলের ইঞ্জিন টানা আগুন নেভানোর কাজ চলছে ৷ এখনো আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে । ভস্মীভূত হয়ে গেছে শতাধিক দোকানপাট । এদিকে দমকল দেরিতে আসার অভিযোগে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ব্যবসায়ীরা । যদিও দমকল মন্ত্রী জানান, দমকল সঠিক সময়ে এসেছিল । কিন্তু এলাকাটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি হওয়ার কারনে কাজ শুরু করতে দেরি হয় ৷ তবে দমকল মন্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন তাতে তার দল চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন৷ তার অভিযোগ, ‘বহু দোকান বেআইনিভাবে বসানো হয়েছিল ।’
জানা গেছে,খিদিরপুর বাজারে করগেট দিয়ে ঘেরা বড়বড় গোডাউনের পাশাপাশি প্রচুর ছোটখাটো দোকানপাট ছিল । গোডাউনগুলির মধ্যে মাখন এবং তেলের মত দাহ্য বস্তুর মজুতও ছিল ৷ ফলে রাত ১.৪০ নাগাদ আগুনের সূত্রপাত হওয়ার পর নিমেষের মধ্যে ভয়াবহ আকার নেয় । খবর পেয়ে দমকলের ইঞ্জিন আসে । কিন্তু সংকীর্ণ রাস্তা এবং রাস্তার দুপাশে পন্য সামগ্রী লোড-আনলোড করার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা কন্টেইনারে কারনে ঘটনাস্থলে দমকল পৌঁছতে অনেকটা দেরি হয়ে যায় । তারপর প্রায় ভোর রাত ২.৩০- ৩ টে নাগাদ আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয় । দমকলমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগুন নেভানোর কাজ চলছে । জলের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কুলিং হলে, পকেট ফায়ারগুলি নেভানোর চেষ্টা করা হবে ।
এলাকার বিধায়ক হলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম । দমকলমন্ত্রীর অভিযোগ,’অনেক দোকান নিয়ম মেনে ঠিকভাবে তৈরি করা হয়নি৷’ যদিও স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা দমকল বিভাগের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন । এখন দেখার বিষয় বিধানসভার ভোটের আগে রাজ্য সরকার ও ‘স্থায়ী ভোটব্যাঙ্ক’-এর মধ্যে এই টানাপোড়েনের কিভাবে ড্যামেজ কন্ট্রোল করেন স্থানীয় বিধায়ক ।।

