এইদিন ওয়েবডেস্ক,লন্ডন,২১ সেপ্টেম্বর : ব্রিটেনের বর্তমান রাজা তৃতীয় চার্লসের ইসলাম প্রীতি নতুন কিছু নয় । সম্প্রতি তিনি ইসলাম সম্পর্কে বলেছিলেন,’পশ্চিমি দেশে ইসলাম নিয়ে ভুল ধারণা রয়েছে । পাশ্চাত্য দেশগুলি যেভাবে মনে করে চরমপন্থা কেবল মুসলমানদের সাথেই জড়িত, বিষয়টি সেরকম নয় বরং সব ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে এমন লোক রয়েছে।’ ব্রিটেনের রাজার শুধু ইসলাম প্রীতিই নয়,বরঞ্চ ব্রিটিশ নাগরিকদের মধ্যে ভারত বিদ্বেষী মানসিকতারও কোনো অভাব নেই । আর তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে ব্রিটেনে জিহাদিদের দ্বারা সেদেশের হিন্দুদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ব্রিটিশ পুলিশের ভূমিকায় ।
ব্রিটেনের লিসেস্টারে হিন্দুরা আক্রান্ত হওয়ার পর বার্মিংহামেও পাকিস্থানি জিহাদিদের হামলার শিকার হতে হয়েছে হিন্দুদের । মঙ্গলবার বার্মিংহামের স্মেথউইকের একটি হিন্দু মন্দিরের বাইরে লেস্টারের মতো জিহাদিদের বিক্ষোভ দেখা যায় । আর তার বহু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে । ভিডিওতে দেখা গেছে ওইদিন দুর্গা ভবন হিন্দু কেন্দ্রের দিকে বিশাল জনতা মিছিল করছে ৷ তাদের অধিকাশের মুখ ছিল মুখোশ দিয়ে ঢাকা । আর ওই সমস্ত মুখোশধারী কট্টরপন্থীদের মন্দিরের সামনে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে স্লোগান দিতে শোনা গেছে । ঘটনাস্থলে পুলিশবাহিনী থাকলেও তাদের সংখ্যা ছিল অত্যন্ত নগন্য । কিছু জিহাদি তো মন্দিরের দেয়াল বেয়ে উঠে পড়ে । আর তখন কার্যত নির্বিকার দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে ব্রিটিশ পুলিশ ।
শুধু তাইই নয়,প্রকাশ্য রাস্তায় মাইক হাতে জিহাদিরা হিন্দু,হিন্দুত্ব, বিজেপি,আরএসএসের বিরুদ্ধে উত্তেজক ভাষণও দিয়েছে । এমনকি হিন্দুদের ব্রিটেন ছাড়া করার হুমকিও দিতে দেখা গেছে । কিন্তু এই সমস্ত জিহাদিদের প্রতি ব্রিটিশ পুলিশের নমনীয় মানসিকতায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । এদিকে মুসলিম কট্টরপন্থী সাংবাদিক এবং ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমগুলি ব্রিটেনের সাম্প্রতিক এই ঘটনার জন্য উলটে ভারতকেই দায়ি করতে শুরু করেছে । জিহাদি মানসিকতাকে আড়াল করা এবং বিশ্বে ভারতের ভাবমূর্তিকে কলুষিত করার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা ।।