এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,২৬ আগস্ট : অতি বৃষ্টির কারনে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় চলছে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি । বহু গ্রাম এখনো জলবন্দি । বেশ কয়েকদিন ধরে অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটছে সেখানকার মানুষদের । সরকারি বা বেসরকারিভাবে চলছে ত্রাণ বিলির কাজ । কিন্তু এই দুর্যোগের মধ্যেও ওই ইসলামি রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন । অভিযোগ উঠছে যে এলাকায় নৌকায় চড়ে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হলেও হিন্দু হওয়ার অপরাধে তাদের মধ্যে ত্রাণ বিলি না করে নৌকা ঘুরিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন ইসলামি সংগঠনের সদস্যরা । এমতবস্থায় একমাত্র ‘ইসকন’ তাদের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে । কিন্তু বাংলাদেশের ফেনি, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের প্রত্যন্ত এলাকায় এমন বহু হিন্দু পরিবার আছে যেখানে ইসকনের পক্ষে পৌঁছানো সম্ভব নয় । ফলে ওই পরিবারগুলি অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে ।
হিন্দু ভয়েস (@HinduVoice_in)-এর এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে । যেখানে এক যুবককে বলতে শোনা গেছে, তাদের সামনে দিয়ে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে গেলেও শুধুমাত্র হিন্দু হওয়ার কারনে তাদের মধ্যে ত্রাণ বিলি করা হচ্ছে না । ভিডিও পোস্টের পাশাপাশি লেখা হয়েছে,’বাংলাদেশে দুঃখজনক পরিস্থিতি । ইসলামপন্থী সংগঠনগুলো হিন্দু সংখ্যালঘুদের (বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত) ত্রাণ সামগ্রী দিচ্ছে না।
একজন হিন্দু যুবক ইসকনের সাধুদের বলছে,’আমরা তিন দিন খাইনি। মুসলমানরা আমাদের খাবার,জল দেয়নি। আমাদের দেখে তারা তাদের নৌকা অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । এটা কি ? এটাই কি স্বাধীনতা ? তারা (নতুন সরকার) দাবি করে যে তারা এই দেশ স্বাধীন করেছে। তাহলে কেন এই বৈষম্য ?’ তবে বাংলাদেশের ঠিক কোন জায়গার ভিডিও এটা তা স্পষ্ট করা হয়নি ।
এদিকে এই দুর্যোগের মধ্যেও বাংলাদেশের হিন্দু মন্দিরে হামলা অব্যাহত আছে । ওই এক্স হ্যান্ডেলে ছবিসহ অভিযোগ করা হয়েছে যে গত রবিবার(২৪ আগস্ট ২০২৪) রাতে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার গ্রামে অবস্থিত মহা মিলন বিষ্ণু মন্দির ও রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের প্রতিমা ও দানবাক্স চুরি করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা । এক্স হ্যান্ডেলে মন্তব্য করা হয়েছে,’বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির নিরাপদ নয়।’।