এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৮ মার্চ : ‘হিন্দু জেগে গেছে, সরস্বতী পুজোয় তাকৎ দেখিয়েছে’- আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিধানসভার গেটের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তিনি বলেন, ‘হিন্দু জেগে গেছে, সরস্বতী পুজোয় তাকৎ দেখিয়েছে । ১৮৮৫ সালের স্থাপিত খেজুরি মক্ত প্রাইমারি স্কুলে ১৪০ বছর পর পূজো হয়েছে । এটাই হচ্ছে হিন্দুরা বাংলায় হিন্দুদের তাকৎ দেখানোর প্রমান ।’ এরপর তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন,’আর আপনি অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন পার্ক সার্কাসে মিছিল করেন । আপনি মহা কুম্ভকে মৃত্যু কুম্ভ বলেন৷ তিনি হিন্দুদের ‘হনুমান’ বলে ব্যঙ্গ করেছিলেন ।’
আসন্ন রামনবমীর শোভাযাত্রায় ফের হামলা হতে পারে বলে অসংখ্য প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী । এনিয়ে তিনি বলেন,২০২৩ সালে রেড রোডে রামনবমীর আগের দিন দুদিন ব্যাপী মুখ্যমন্ত্রীর যে ধরনা ছিল সেখানে তিনি প্রকাশ্যে পুলিশকে বলেছিলেন যে দেখে নেবেন রাম নবমীর মিছিল যাতে কোন মুসলিম এলাকায় না যেতে পারে । এটা কোন মুসলিম নেতা বলেনি । অন্য সম্প্রদায়ের কোন ধর্ম প্রচারক বলেননি । কে বলেছেন ? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী । তাই এবারও আমরা আশঙ্কা করছি যে বাংলাদেশের পরে যেভাবে জিহাদিরা উৎসাহিত হয়ে ফালাকাটা থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত দুর্গাপূজায় হামলা করেছে, কলকাতায় রাজাবাজারে কালী পুজোয় হামলা করেছে, বজবজের নোদাখালিতে লক্ষ্মীপূজায় হামলা করেছে, বীরভূম জেলার সাঁইথিয়াতে যে কান্ড আজও চালাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন, কীর্ণাহারে যে ঘটনা ঘটেছে, তমলুক ও নন্দকুমার সহ বিচ্ছিন্নভাবে গোটা রাজ্যে যে ঘটনা ঘটেছে একই ঘটনা রামনবমীতে পুলিশ এবং মুখ্যমন্ত্রী ঘটাতে পারেন ।’
বাঁকুড়া জেলার সারেঙ্গা থানার জারি করা প্রোফর্মা পাঠ করে রাম নবমী উদযাপন কমিটিদের কাছে তিনি আবেদন জানান,’আপনারা কেউ নতুন প্রোফর্মা ফিল আপ করবেন না । গত বছরে যা হয়েছিল এবারও আমাদের একভাবে উৎসব পালন করা হবে।’ প্রোফর্মাটি পাঠ করেও সাংবাদিকদের শোনান বিরোধী দলনেতা । শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’আমরাই ইতিমধ্যে পুলিশের একটা প্রোফর্মা পেয়েছি । কিভাবে উস্কানি দিচ্ছে দেখুন । আমরা সব জায়গায় বলে দিচ্ছি এই প্রোফর্মা কেউ ফিলাপ করবেন না । বাঁকুড়া জেলার সারেঙ্গা থানার প্রোফর্মা পাঠিয়েছে ওখানকার রাম নবমী উৎসব কমিটি৷ প্রোফর্মাতে বলা হচ্ছে কমিটির নাম, পুজোর স্থান, সেক্রেটারি এবং প্রেসিডেন্টের নাম ও মোবাইল নম্বর, প্রোসেশন হবে কিনা, প্রোসেশনের রুট, ছ নম্বরটা তো আবার মারাত্মক । ওই রুটে অন্য ধর্মের কোন প্রতিষ্ঠান আছে কিনা /মুসলিম মহল্লার নাম । এটা কিন্তু অন্য কোন সম্প্রদায় লোকেরা ভাবছে না, পুলিশ চাইছে । কিভাবে বিষ ছড়াচ্ছে এই মুখ্যমন্ত্রী এবং তার টেন্টেড ডিজিপি রাজীব কুমার আর কলকাতা পুলিশ কমিশনার, আর এক গুন্ডা মনোজ ভার্মা । বিষটা কিভাবে ছড়াচ্ছে দেখুন৷ ৭-এ বলছে জমায়েত, ৮-এ বলছে ট্রাবেল মঙ্গারদের নাম ও মোবাইল নম্বর । আরে,মমতা পুলিশ জেনে রাখো হিন্দু পুজোতে ট্রাবেল মঙ্গার থাকে না । বলছে ট্রাবেল মঙ্গার, বাংলা করলে দাঁড়ায় যারা গন্ডগোল করতে পারে পুজোতে । ৯-এ বলা হচ্ছে ওই পুজোতে প্রধান কন্ট্রোলার ব্যক্তি ও পুলিশ ফ্রেন্ডের নাম ও মোবাইল নম্বর ।’
তিনি বলেন,এবারে আমরা প্রত্যেকে রাস্তায় থেকে রামনবমীর মিছিলের নেতৃত্ব দেবো । গতবারে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার মিছিলে হামলা করেছে । এবারে আমি ৮ তারিখে এগরার থাকবো । হাওড়া শ্যামপুরে পাঁচটা দুর্গা মূর্তি ভেঙেছে। আমি ৭ তারিখে শ্যামপুরের মিছিলে থাকবো । আমরা রাস্তায় থাকবো। পিছনে থাকবে লাখো হিন্দু ভক্ত জনতা । পারলে আটকে নিন । ক্ষমতা থাকে আটকে নিন৷ হিন্দুস্থান মে হিন্দু হি রাজ করেগা । অর জো হিন্দু হিত মে কাজ করেগা ওহি বাঙাল মে রাজ করেগা । দিল্লিকা জিত হামারি হ্যায়,২৬ মে বাঙ্গাল কা বারি হ্যায় । সব হিন্দু একসাথে জোট বেঁধে, মমতাকে হারাবে এবং চটি চাটাও বন্ধ হবে ।’।