এইদিন ওয়েবডেস্ক,লালমনিরহাট(বাংলাদেশ),১০ জানুয়ারী : ‘নৌকা’ চিহ্নে ভোট না দিলে মন্দির ভেঙে পূজো বন্ধ করে দেওয়া হবে,জোর করে গোমাংস খাওয়ানো হবে এমনকি বাংলাদেশ থেকে ভারতে তাড়িয়ে দেওয়া হবে হিন্দুদের । স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনদের এমনই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লিগের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলের বিরুদ্ধে । গত রবিবার এনিয়ে চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিকী শ্যামল সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ব্রজেন্দ্রনাথ বর্মন (৪৩) । যদিও এদিন বুধবার পর্যন্ত পুলিশ এনিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ । উলটে হিন্দুদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচির উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে ।
বাংলাদেশের মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী,সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন চলতি বছরের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে । নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী রয়েছেন । তার মধ্যে অন্যতম নির্দল প্রার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফ । বর্তমানে জোর কদমে চলছে প্রচার পর্ব । প্রচারের শুরু থেকেই আরিফ আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুল আমিন ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা ও হামলার অভিযোগ করে আসছেন ।
জানা গেছে,গত সপ্তাহের শনিবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলের বাইক বাহিনী বেড়িয়েছিল প্রচারের জন্য । আবু বক্কর সিদ্দিক ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে চড়ে সিন্দুরনা গ্রামে গিয়েছিল । গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য বলে । কিন্তু ব্রজেন্দ্রনাথ ও তাঁর স্ত্রীর আওয়ামী লিগকে ভোট দিতে অস্বীকার করায় বাইকবাহিনী চরম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ।
ব্রজেন্দ্রনাথ বর্মনের এক আত্মীয়ার অভিযোগ, ‘শ্যামল আমাদের হুমকি দেয় ‘নৌকা’য় ভোট না দিলে মন্দির ভেঙে দেবে । গোমাংস খাওয়াবে । এমনকি গ্রামের হিন্দুদের সবাইকে বাংলাদেশ থেকে তাড়িয়ে ভারতে ঢুকিয়ে দেবে । আমরা এখন খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি ।’ রবিবার ব্রজেন্দ্রনাথ হাতীবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং নিজের এবং তার পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন করেছেন ।
এদিকে সংখ্যালঘুদের নিয়ে নানা ধরণের কুটক্তি করায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ । কিন্তু শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি শেষ হওয়ার আগেই পুলিশ এসে লাঠিপেটা করে তাদের তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ ।।