এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৭ মার্চ : মালদা জেলার মোথাবাড়িতে হিন্দুদের উপর ব্যাপক হামলার অভিযোগ তুললেন রাজ্য বিজেপির যুবনেতা ও আইনজীবী তরুনজ্যোতি তিওয়ারি । তিনি হামলার একটা ভিডিও এক্স-ভাগ করে লিখেছেন,’মালদহের মোথাবাড়িতে পরিকল্পিত হামলা – প্রশাসনের নীরবতা কেন?মালদহের মোথাবাড়িতে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের একদল দুষ্কৃতকারী প্রকাশ্যে ঘোষণা করছে—”পুলিশ আমাদের গুলি করবে না, মোথাবাড়িতে হিন্দু থাকতে দেব না!” এমনকি তারা হুমকি দিচ্ছে— “জয় শ্রীরাম ** ভরে দেবো!”প্রশ্ন হচ্ছে, এই দুষ্কৃতীদের এত সাহস আসে কোথা থেকে? পুলিশের সামনেই তাণ্ডব চলল, অথচ প্রশাসন চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখল! কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বা হচ্ছে না?’
তিনি লিখেছেন,’এই ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। হামলাকারীদের একজন নিজেই ফেসবুক লাইভ করে পুরো বিষয়টি প্রচার করেছে। অথচ এখনো পুলিশ নির্বিকার! এটাই কি প্রমাণ করে না যে, একটি বিশেষ পক্ষের প্রতি প্রশাসনের নীরব সমর্থন রয়েছে? তার গরু তিনি দুধ খেতেই পারেন কিন্তু পশ্চিমবঙ্গবাসীর লাথি কেন খাবে? পশ্চিমবঙ্গ কি ভারতবর্ষের অন্তর্গত একটি রাজ্য, নাকি ইসলামিক রাষ্ট্র ঘোষণা হয়ে গেছে?’
তরুনজ্যোতির অভিযোগ,’আজকের পশ্চিমবঙ্গে ৩০ শতাংশের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছত্রছায়ায় নিরীহ মানুষের উপর এমন আক্রমণ হচ্ছে, অথচ প্রশাসন নির্বিকার! আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। নাহলে হিন্দু সমাজ গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।’
তিনি অন্য একটা পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির লন্ডনের রাস্তায় জগিংয়ের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ম্যাডাম আপনার বিধানসভা এলাকায় হিন্দুরা অত্যাচারিত হচ্ছে এবং আপনি অক্সফোর্ড অক্সফোর্ড করে নাচ্ছেন? কারা অত্যাচার করছে সেটা নিশ্চয়ই আর বলতে হবে না? আপনার ভাইদের আটকান ।’
তবে শুধু তরুনজ্যোতি তিওয়ারিই নয়, দোকান ভাঙচুরের একটা ভিডিও পোস্ট করে হিন্দু ভয়েস লিখেছে, ‘পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলা থেকে খবর আসছে। হিন্দুরা আক্রমণের শিকার! আজ, মোথাবাড়িতে উগ্র ইসলামপন্থী জনতা হিন্দুদের উপর আক্রমণ করেছে.. একজন মুসলিম যুবক বলছে (আপনি ভিডিওতে শুনতে পাচ্ছেন): “আমরা মোথাবাড়িতে একজনও হিন্দুকে রাখব না। আমরা তাদের জয় শ্রী রাম পো# ভরে দেব”। পুলিশ ইসলামপন্থীদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।’
শিলিগুড়ির ঠিকানা দেওয়া কেয়া ঘোষ নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী গাড়ি ভাঙচুরের একটা ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, পোস্টে অ্যাংরি রিয়াক্ট দেবেন না । এই দৃশ্যটি পশ্চিম বঙ্গের মালদা জেলার মোথাবাড়ির! হিন্দুদের হয়ে কথা বলে আমরা শাসকের এবং জেহাদিদের চোখের কাঁটা। সমর্থন নয় একত্রিত হোন৷’ তার শেয়ার করা ভিডিওতে একজন হামলাকারীকে বলতে শোনা গেছে, আমি ভাই রোজাতেও এত কাল ক্লান্ত হয়ে আছি, আর তোমরা বাড়িতে বসে বসে আড্ডা দিচ্ছ ? মোথাবাড়ি আসতে তোমাদের কি হয়েছে ? তোমাদের জন্য মুসলমানদের জন্য গলা বসে গেল৷ আর তোমরা বাড়িতে বসে কি করছ ? তোমরা মুসলমান নাও৷ তোমরা মাঠে নামো৷ ভয় কিসের ভাই ?’
এরপর সে ক্যামেরা অন্যদিকে ঘুরিয়ে তার সম্প্রদায়ের লোকজনদের উদ্দেশ্যে বলে, মার শালাকেও । শালা জয় শ্রীরাম করছে। তোদের গাঁ# জয় শ্রীরাম ভরে দেব শালা । হিন্দু বলে কেউ থাকবে না শালা মোথাবাড়িতে মুছে দেবো । জয় শ্রীরাম গাঁ# ভরে দেব ।’ অন্য একটা ভিডিও ভাগ করে কেয়া ঘোষ লিখেছেন,’মালদহের মোথাবাড়িতে পরিকল্পিত হামলা – প্রশাসনের নীরবতা কেন? মালদহের মোথাবাড়িতে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের একদল দুষ্কৃতকারী প্রকাশ্যে ঘোষণা করছে— “পুলিশ আমাদের গুলি করবে না, মোথাবাড়িতে হিন্দু থাকবে না” ।’
রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক্স-এ লিখেছেন,’তোষণসর্বস্ব ব্যর্থ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজ্যের হিন্দুদের অস্তিত্ব ক্রমশ আশঙ্কার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। এই ভয়াবহ ছবি আজকের দক্ষিণ মালদহের মোথাবাড়ি অঞ্চলের চৌরঙ্গী মোড়ের। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে হিন্দুদের ৬০-৭০ টি দোকান ভেঙ্গে লুঠ করা হয়েছে, হিন্দুদের ঘরবাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে এবং মূল রাস্তায় দখল নিয়ে যথেচ্ছাচারে গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। এলাকার হিন্দুরা ত্রস্ত, আতঙ্কিত কিন্তু এলাকায় কোনও পুলিশের দেখা নেই! সংখ্যালঘু মুসলিমদের তোষণ করতে করতে রাজ্যের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরীর গোপন অভিসন্ধি ক্রমশই সফল করে তুলছেন। বাংলার নিপীড়িত অসহায় হিন্দুরা সম্মিলিত হয়ে এই অন্যায় তোষণ নীতির প্রতিশোধ নেবেন ২০২৬ এ।’ তিনি কয়েকটি ভিডিওও শেয়ার করেছেন ।।