এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,০১ আগস্ট : ফের জিহাদিদের নিশানায় বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ । নড়াইলের পর এবার একটি হিন্দু গ্রামে চড়াও হয়ে লুটপাট, ভাঙচুর,অগ্নিসংযোগ ও মারধর করে পালালো পাশের মুসলিম গ্রামের লোকজন । হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠল খোদ খালেদা জিয়ার দল বিএনপির(Bangladesh Nationalist Party) এক নেতার বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের ঝিনাইদহের শৈলকুপারের ধলহারচন্দ্র ইউনিয়নের কামারিয়া গ্রামে ।
জানা গেছে, জিহাদিদের হামলায় ১৬ জন হিন্দু জখম হয়েছে । আহতদের মধ্যে কয়েকজন মহিলাও রয়েছেন । আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৬-৮ টি বাড়িতে । কয়েক লক্ষ টাকার জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা । পাশাপাশি ওইদিন রাতের দিকে পিরোজপুর জেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের কাথুলিয়া গ্রামে শীতলা মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করেছে ৩ মুসলিম জিহাদি । স্থানীয় হিন্দুদের নজরে পড়ে গেলে তাদের আটকে রেখে স্থানীয় থানায় খবর দেয় । পরে পুলিশ তাদের আটক করে । তবে কামারিয়া গ্রামে হামলার ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
শৈলকুপা থানার অন্তর্গত এই কামারিয়া গ্রাম । গ্রামটি হিন্দু অধ্যুষিত । হামলাকারী গ্রাম বগুড়া মুসলিম বহুল । স্থানীয় সুত্রে খবর,দিন সাতেই আগে থেকেই কামারিয়া গ্রামে হামলা চালালোর মতলব করছিল বগুড়া গ্রামের মুসলিমরা । ওইদিন বগুড়া গ্রামের ২০-২৫ জনের একটি দল কামারিয়া গ্রামে গিয়ে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছিল । কিন্তু ওই জিহাদিদের মতলম আন্দাজ করে কামারিয়া গ্রামবাসী থানায় খবর দিয়ে দেয় । এরপর পুলিশবাহিনী এসে জিহাদিদের খেদিয়ে দেয় । এরপর রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বিএনপি নেতা ফরিদ মুন্সির(Farid Munsi) নেতৃত্বে বগুড়া গ্রাম থেকে দলবল এসে কামারিয়া গ্রামে চড়াও হয় । কেউ কিছু বোঝার আগেই ব্যাপক মারধর,ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করে জিহাদিরা । জ্ঞানেন্দ্র মণ্ডল,ভরত মণ্ডল,সুনীল মণ্ডল,দীপক মণ্ডল,উত্তম বাইন, সজল বারইসহ বেশ কয়েকজনকে বেদম মারধর করে তাদের বাড়িতে দুষ্কৃতকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ।
এই বিষয়ে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মুনতাসিরুর ইসলাম বলেন, ‘কামারিয়া গ্রামে দিন কয়েক আগে একটি মোটর সাইকেল চুরি হয়েছিল । আর তা নিয়ে ঝামেকার সুত্রপাত বলে শুনেছি ।’ আক্রান্ত হিন্দুদের অভিযোগ, ঝামেলায় মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা জড়িয়ে অন্য দিকে মোড় ঘোরাতে চাইছে পুলিশ ।।