এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,২২ আগস্ট : প্রায় দুই সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও পরিস্থিতি এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। সাংবাদিকদের গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং হিন্দু শিক্ষকরা তাদের জোর করে চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করছে ইসলামি জঙ্গিরা ৷ এছাড়াও,মুসলিম শিক্ষার্থীরা ‘সতর্ক দল’ গঠন করেছে এবং তারা নাগরিকদের কীভাবে আচরণ করতে হবে তা শেখাচ্ছে । প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনকালের ঘনিষ্ঠ সাংবাদিকদের অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে ।একটি বেসরকারি চ্যানেলের প্রাক্তন সম্পাদক শাকিল আহমেদ, তার স্ত্রী ফারজানা রূপা ও আর এক সাংবাদিককে বুধবার ফ্রান্সে যাওয়ার পথে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের প্রায় ৭০ জন হিন্দু শিক্ষক পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন জামাত ও বিএনপি জঙ্গিদের চাপে । এর মধ্যে আজিমপুর সরকারি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ গীতাঞ্জলি বড়ুয়াকে গাছের সঙ্গে বেঁধে তার পদত্যাগ দাবি করে মুসলিম ছাত্ররা । সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করে তাদের উদ্ধার করে । একইভাবে, আর এক হিন্দু শিক্ষক সোনালী রানী দাস, যিনি বর্তমান রেড ক্রিসেন্ট নার্সিং কলেজের সহকারী অধ্যাপক, তাকেও পদত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিলমুল্লা দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন,’এই সমস্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ এখনও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। এমনকি লোকেরা যখন তাদের পুরানো রুটিনে ফিরে আসার জন্য তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছে, সেখানে উত্তেজনা রয়েছে ।’ হিন্দু ভয়েস জানিয়েছে,’কট্টরপন্থী মুসলিম ছাত্ররা হিন্দু শিক্ষক ও অধ্যাপকদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করছে। এটা বাস্তব ঘটনা । বাংলাদেশের মিডিয়ার একটি অংশ সেই অপরাধগুলোকে ‘ছাত্র প্রতিবাদ’ নাম দিয়ে হোয়াইটওয়াশ করার চেষ্টা করছে। ছাত্র বিক্ষোভ শেষ হয়েছে এবং এখন বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন চলছে।’ তবে আরও জানানো হয় যে যে মহিলাটিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে, তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্রী। তিনি এবং অন্যান্য প্রাক্তন ছাত্রীরা গীতাঞ্জলি বড়ুয়াকে বাঁচাতে এসেছিলেন। কিন্তু, মুসলিম ছাত্ররা তাকে গাছে বেঁধে রাখে। মুসলিম ছাত্ররাও গণমাধ্যমকে বলেন, তারা হামলা করতে এসেছেন। কিন্তু তা সত্য নয়। ঘটনাটি ২০ আগস্ট ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে ।।