এইদিন ওয়েবডেস্ক,কুষ্টিয়া,০৭ আগস্ট : ইসলামের ধর্মগ্রন্থ থেকে তাদের নবির বৈবাহিক জীবন নিয়ে যদি কোনো হিন্দু উদ্ধৃতি দেয় তাহলে তার “সর তন সে জুদা” র শ্লোগান তুলে হামলা চালায় বাংলাদেশের জিহাদিরা । কিন্তু সেই জিহাদিরাই প্রতিনিয়ত হিন্দু ধর্মের অবমাননা করেও ছাড় পেয়ে যায় । বাংলাদেশের শাসনযন্ত্র জিহাদিদের হিন্দু ধর্ম অবমাননার কার্যত ছুট দিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ ৷ কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল মুহাইমিন ইসলাম সম্প্রতি ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে অত্যন্ত আপত্তিজনক পোস্ট করলেও নির্বিকার বাংলাদেশের পুলিশ । যেকারণে ওই জিহাদিকে বহিষ্কার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতনী শিক্ষার্থীরা ।
জানা গেছে,গত ৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ জিহাদি ছাত্র আব্দুল মুহাইমিন ইসলাম শ্রীমদভগবদগীতা ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে অত্যন্ত আপত্তিজনক পোস্ট করে ফেসবুকে । তার সেই পোস্ট হিন্দুদের নজরে পড়লে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বুধবার (। ৬ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে ওই জিহাদি শিক্ষার্থীর স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করে সনাতনী শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন।
একজন প্রতিবাদী হিন্দু ছাত্র বলেন,’বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত আমাদের ধর্মকে অবমাননা করা হচ্ছে। এতে আমাদেরও আঘাত লাগে । আমরা কারোর ধর্মে আঘাত করি না, তাহলে আমাদের ধর্ম নিয়ে কেন এমন ঘৃণ্য আচরণ করা হয় ? আমরা দোষীর বিচার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার চাই, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরণের আচরণ করতে সাহস না দেখায়।
তবে অভিযুক্ত জিহাদি আব্দুল মুহাইমিন ইসলামের সাফাই হল, ‘এটা ছিল একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণধর্মী লেখা। কোনো ধর্মকে হেয় করার উদ্দেশ্য ছিল না। যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকে, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে আমি পোস্টটি মুছে ফেলেছি।’ কিন্তু যদি ইসলামের নবির শিশুকন্যাকে বিবাহ ও যৌনতা নিয়ে তিনি কি ‘তুলনামূলক বিশ্লেষণধর্মী লেখা’ লিখবেন বা যদি কেউ ইসলামি ধর্মগ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে লেখে তাকে কি সমর্থন করবেন ? যদিও এই প্রশ্নের উত্তর ওই জিহাদি ছাত্র দেননি ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডঃ মহম্মদ শাহিনুজ্জামান বলেছেন,’আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষের বক্তব্যের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ এখন দেখার বিষয় ওই জিহাদি ছাত্রের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয় কিনা । তবে হিন্দু পড়ুয়াদের আশঙ্কা এক্ষেত্রে মানবিক দৃষ্টিকোণ উত্থাপন করে ওই জিহাদির কর্মকাণ্ডকে লঘু করে দেওয়ার চেষ্টা হবে ।।

