এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেঙ্গালুরু,১৯ মার্চ : সন্ধ্যার সময় দোকানে হনুমান চালিসা গান বাজানোয় এক হিন্দু দোকানদারের উপর জিহাদি হামলা হয়েছে । হামলার ভিডিওটি ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । বেঙ্গালুরুর হালাসুরু গেটের আওতাধীন নাগরত টাউনে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি সরব হতেই অভিযোগ নিতে বাধ্য হয় পুলিশ । শেষ পর্যন্ত পুলিশ শাহনওয়াজ, সুলেমান ও রোহিত নামে তিন জিহাদিকে গ্রেফতার করে । বাকি দুই আসামি দানিশ ও তারান পলাতক। এদিকে এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন হিন্দু ক্রিকেটার দানিশ কানেড়িয়া । তিনি হামলার ভিডিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এই অসহিষ্ণুতা নিয়ে এখন কেউ মুখ খুলবে না’ ।
আক্রান্ত ব্যবসায়ী মুকেশ বলেন,’ঘটনার দিন সন্ধ্যায় পূজার সময় আমি যথারীতি দোকানে ভজন গান বাজাচ্ছিলাম । সেই সময় কয়েকজন দোকানে এসে জিজ্ঞেস করেন, আমাদের আজানের সময় গান বাজাচ্ছ কেন? তারপর তারা আমার উপর আক্রমণ করে, আমি প্রাথমিকভাবে প্রতিরোধের চেষ্টা করি । কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ আমার মাথায় আঘাত করে।। তার হাতে অস্ত্র ছিল। আর সেই অস্ত্রের কোপে আমার এত আঘাত লেগেছে ।’ তার আরও অভিযোগ, হামলাকারীরা আমাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার হুমকিও দেয় । মাত্র দুই মাস আগে দোকান খুলেছি । শুরু থেকেই তারা দাদাগিরি করছিল এবং চাঁদাবাজির চেষ্টা করে আসছিল ।’ তিনি জানান যে ঘটনার দিন মোট ছয়জন এসে হামলা চালায় ।
জানা গেছে,ঘটনার মূল আসামি সুলেমানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই দুটি মামলা চলছে । এই দুটি মামলায় সোলেমানকে পুলিশ ওয়ান্টেড করেছে।
কর্ণাটকের বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য ভুক্তভোগী মুকেশের সাথে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন । পরে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,’গতকাল সন্ধ্যায় মুকেশ তার ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। প্রতি সন্ধ্যায় ভক্তিমূলক গান শোনার অভ্যাস ছিল তার। সেভাবেই গতকালও স্পিকারে গান বাজিয়েছেন। কিন্তু কিছু দুষ্কৃতী তার দোকানে এসে তার সঙ্গে মারামারি করে। সঙ্গে সঙ্গে স্পিকার বন্ধ করে দেন এবং হনুমান চালিসা বাজানো বন্ধ করার জন্য হুমকি দেন। মুকেশ তা করতে অস্বীকার করলে তারা তাকে টেনে বের করে নিয়ে যায়। ৬-৭ জন আততায়ী মিলে তাকে মারধর করে । আক্রান্তের গায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেলে বুঝবেন কীভাবে মারধর করা হয়েছে। মুকেশ গুরুতর জখম হয়েছে ।’
তিনি আরও বলেন,’অবিলম্বে, মুকেশ এবং আশেপাশের দোকানদারদের সাথে এফআইআর দায়ের করতে নিকটস্থ থানায় যান, বিশদ লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার পরেও, স্থানীয় পুলিশ এফআইআর দায়ের করেনি, এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল অনেক দেরিতে। সাংসদ পিসি মোহন, আমার এবং স্থানীয় বিজেপি নেতাদের হস্তক্ষেপের পরেই পুলিশ এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। এছাড়াও, এফআইআর-এ কিছু নাম অন্তর্ভুক্ত করায় স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। যারা অপরাধের সাথে জড়িত ছিল না… মাত্র ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং গ্রেপ্তার করেছে,সিসিটিভিতে দেখা আসা সমস্ত অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি করছি আমরা । আমরা ব্যাঙ্গালোর সিটি কমিশনারের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করছি ।’।