এইদিন ওয়েবডেস্ক,আলিগড়,১৭ মে : এক হিন্দু শ্রমিকের শিশুকন্যাকে দত্তক নিয়েছিল ৫০ বছর বয়সী এক মুসলিম ব্যক্তি । সে শিশুটিকে নিজের পরিচয় দেয়,এমনকি ইসলামি রীতি অনুযায়ী শিশুটির নামকরণও করে । কিন্তু সেই পালক পিতার দ্বারাই দিনের পর দিন ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে ওই শিশুটি । ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে । শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষার পর ধর্ষণের প্রমান পাওয়া গেলে অভিযুক্ত মহম্মদ হাসান ওরফে পাপ্পুকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত । পাশাপাশি শিশুটির দেখভালের জন্য কেউ না থাকায় তাকে কানপুরের একটা সরকারি মহিলা হোমে পাঠানো হয়েছে ।
মিডিয়া রিপোর্টে জানা গেছে,অভিযুক্ত মোহাম্মদ হাসান চার সন্তানের জনক । তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে । অন্যদিকে নির্যাতিতা শিশুকন্যার বাবা-মা আলিগড়ের কোয়ারসির একটি ভাটাতে শ্রমিকের কাজ করে । বছর চারেক আগে শিশুটিকে দত্তক নেয় মহম্মদ হাসান । বাড়িতে এনে ইসলামি রীতিনীতি অনুযায়ী মেয়েটির নামকরন করে । গত এক বছর ধরে শিশুটিকে ধর্ষণ করে আসছিল হাসান । কিন্তু ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর হাসানের পুত্রবধূ শিশুটির সাথে অপকর্ম করার সময় দেখে ফেলে ।
হাসানের পুত্রবধূই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন । খবরটি কুয়ারসির সমাজসেবক মোহন চৌহানের কানে যায় । শেষে মোহন চৌহানের অভিযোগের ভিত্তিতে মহম্মদ হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ । মঙ্গলবার ওই মামলায় হাসানকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত । জরিমানার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা নির্যাতিতা নাবালিকার নামে ব্যাঙ্কে রাখার জন্য আদালত থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।।