এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ ও ঢাকা,২৪ জুন : ইসলামি রাষ্ট্র পাকিস্তান ও তার অনুসারী বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামি কট্টরপন্থীদের দল । পাকিস্তানের ১৩ বছরের হিন্দু কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ বা গনধর্ষণ করে খুন করা হয় । তারপর মেয়েটির দেহটি তাদের বাড়ির সামনেই ফেলে দিয়ে যায় ধর্ষক বা ধর্ষকরা । ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির( Bilawal Bhutto Jardari) এলাকা সিন্ধু( Sindh) প্রদেশের কাইম বাব্বর(Qaim Babbar) গ্রামে । সোশ্যাল মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, হতভাগ্য ওই কিশোরীর নাম নিশা ওয়ালিজি কোহলি । এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেনি পাকিস্তানের পুলিশ ।
অন্যদিকে বাংলাদেশের ঢাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে এক জিহাদি একটি দূর্গা মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ । দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুরের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে । ভিডিওতে দেখা গেছে, এক যুবক লোহার রড দিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করে চলে যাচ্ছে । মন্দিরের বাইরে তখন আতঙ্কিত লোকজন । ভাঙচুরকারী যুবক উপস্থিত হিন্দুদের উদ্দেশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং শিরোচ্ছেদের হুমকি দিয়ে চলে যায় ।
সোশ্যাল মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী,ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার দোহার(Dohar) উপজেলার জাইপাড়া দুর্গা মন্দিরে(Jaipara Durga Temple ) । হামলাকারীর নাম এমডি সিদ্দিক(MD Siddiq) । গত ২২ জুন তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানানো হয়েছে ।
এদিকে পাকিস্তানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে হিন্দুদের পবিত্র উৎসব “হোলি” উদযাপন স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে সাহবাজ শরিফ সরকার । সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তেহরিক-ই-লাব্বাইক পার্টির সাথে ১২ দফা চুক্তি স্বাক্ষর করার করার পর ধর্মনিন্দা আইনকে আরও কঠোর করার পাশাপাশি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে হোলি নিষিদ্ধ করা হয় । ইসলামাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের হোলি উৎসব উদযাপনের একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হলে, পাকিস্তান সরকার গত মঙ্গলবার দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটা বিজ্ঞপ্তি জারি করে । পাকিস্তানের উচ্চ শিক্ষা কমিশন ওউ বিজ্ঞপ্তিটি জারি করে জানিয়েছে যে ‘হোলি’ উদযাপনের মতো ঘটনা প্রত্যক্ষ করা “দুঃখজনক”, যা “দেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এবং দেশের ইসলামী পরিচয়ের ক্ষয়” দেখায় । এটি এমন একটি উদাহরণ যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । হিন্দুদের উৎসব হোলকে উৎসাহ দেওয়া এবং ব্যাপকভাবে প্রচার করা যা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং দেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিকারকভাবে প্রভাবিত করেছে । পড়ুয়াদের কাছে “ইসলামের সাংস্কৃতিক ও নৈতিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখা”র আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে পাকিস্তানের ইসলামী জাতির সংস্কৃতি, মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্যের অন্তর্নিহিত নীতিগুলি উন্নত করার কথা বলেছে পাকিস্তানের উচ্চ শিক্ষা কমিশন ।।