এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০২ ফেব্রুয়ারী : ব্রিটেনের “গ্রুমিং গ্যাং” নিয়ে সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল । পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন ইসলামি রাষ্ট্রগুলি থেকে আগত শরণার্থীদের এই গ্যাং অল্প বয়সী ব্রিটিশ মেয়েদের প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে তাদের সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক তৈরি করে ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ । এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাটে । ‘রোহন’ নামে পরিচয় দিয়ে এক হিন্দু তরুনীকে ফুসলিয়ে অমরাবতী মহারাষ্ট্রের হাবিব নগরে নিয়ে গিয়ে শারিরীক সম্পর্ক গড়ার অভিযোগ উঠেছে মিজানুর গাজী নামে এক মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে । এক্স-এ শেয়ার করা একটি ভিডিও বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাঝি জানিয়েছেন,তরুনীর বাবা-মায়ের কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি ও তার দল মহারাষ্ট্রের অমরাবতী এলাকার হাবিব নগর থেকে ওই হিন্দু তরুনীকে উদ্ধার করে এনেছে । উদ্ধার হওয়া তরুনী ও দেবদত্ত মাঝি জানিয়েছেন যে মিজানুর গাজী ও তার এক ভাই সোনার চোরাচালানের সাথে যুক্ত । এই সমগ্র ঘটনায় বসিরহাটের পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছেন ওই বিজেপি নেতা৷
উদ্ধার হওয়া তরুনীকে পাশে বসিয়ে ক্যামেরার সামনে তার স্বীকারোক্তি নিয়েছেন দেবদত্ত মাঝি । সেই ভিডিও তিনি শনিবার এক্স-এ পোস্ট করেছেন । সেই সাথে মা-বাবাকে জড়িয়ে ধরে তরুনীর কান্নার মুহুর্তের ভিডিও তিনি শেয়ার করেছে । পাশাপাশি লাভ জিহাদি যুবকের একটা ছবিও পোস্ট করেছেন ওই বিজেপি নেতা । তিনি লিখেছেন,’মহাকুম্ভ মিস করে আমি অত্যন্ত দুর্ভাগ্য ও দুঃখ বোধ করছি। পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটের লাভ জিহাদের শিকার, অমরাবতী মহারাষ্ট্রের হাবিব নগর থেকে উদ্ধার । জিহাদি স্বর্ণ চোরাকারবারী মিজানুর গাজীর খপ্পর থেকে উদ্ধার অর্পিতা সরকার (বয়স ২৩ বছর)। দয়া করে দ্বিতীয় ভিডিওটিও দেখুন যেখানে শিকার হওয়া মেয়েটি তার পিতামাতার সাথে পুনরায় মিলিত হচ্ছে। ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫,আমার ঘটনাস্থলের সূত্র থেকে আমি জানতে পারি যে অর্পিতাকে মহারাষ্ট্রের একটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা অমরাবতীর হাবিব নগরে রাখা হয়েছে। এটি কলকাতা থেকে প্রায় ১৩০০ কিলোমিটার দূরে । আমি অবিলম্বে কলকাতা থেকে স্থলপথে গাড়িতে করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই এবং আমার সাথে আমার সাহসী দল যোগদান করে,যারা ইতিমধ্যে সেখানে ৬ দিনের জন্য উপস্থিত ছিল।’
তিনি লিখেছেন,২৫ তারিখে হাবিব নগরে পৌঁছে অর্পিতাকে ২৬ ফেব্রুয়ারীতে উদ্ধার করি । আমার সকল বন্ধুদের ধন্যবাদ যারা আমাদের এই মিশনে সাহায্য করেছেন। এই বছরে আমরা দ্বিতীয় শিকারকে ভিকটিমকে অনেক দূরে ভারতের এক রাজ্য থেকে উদ্ধার করেছি (আগেরটি তামিলনাড়ু থেকে)। শিকার হওয়া মেয়েটির বাবা-মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জিহাদি ও সোনা পাচারকারী মিজানুর গাজির পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে হুমকি পাচ্ছেন।
আমরা আমাদের মেয়েদের লাভ জিহাদ থেকে উদ্ধার করতে এবং লাভ জিহাদ(এলজে) ও জনবন্যাসের পরিবর্তনের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । ভিডিওতে তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় বসিরহাটের থানায় একটা সুনির্দিষ্ট এফআইআর রজু করা হয়েছে । পাশাপাশি তিনি পুলিশকে শাসকদলের প্রভাবমুক্ত হয়ে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করার দাবিও জানান তিনি৷
অন্যদিকে উদ্ধার হওয়া তরুনী জানিয়েছেন, ‘রোহন’ নাম শুনে মিজানুর গাজীকে প্রথমে হিন্দু ভেবেছিলেন । এমনকি তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করার অভিযোগ তুলেছেন মিজানুর গাজীর৷ পাশাপাশি মিজানুর ফোনে তার মা-বাবা ও ভাইকে খুনের হুমকিও দিচ্ছে বলে অভিযোগ তার । মিজানুরের এই ভাই আলমগীরের বিরুদ্ধে একই প্রকার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন দেবদত্ত মাঝি৷ তার আরও অভিযোগ,মিজানুর ও আলমগীর মিলে সোনা পাচারের ব্যবসা চালায় । যদিও এই মামলায় তিনি এফআইআরের কপি শেয়ার করেননি এবং এইদিনের পক্ষে পুলিশের কোনো প্রতিক্রিয়া নেওয়া সম্ভব হয়নি ।।