এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,২০ জানুয়ারী : বাংলাদেশের পিরোজপুরের নেছারাবাদে এক হিন্দু ব্যবসায়ীকে মেরে গাছে ঝুলয়ে দেওয়া হয়েছে । রতন বেপারী (৪০) নামে ওই ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।উপজেলার সোনারগোপ এলাকার একটি আম গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রবিবার সকালে মৃতদেহ উদ্ধার হয়।রতন বেপারী হোগলা পাতার খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা করতেন। তিনি উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের লেবু বাড়ি গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত জনার্দন বেপারীর ছেলে। পুলিশের অনুমান গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি । যদিও পুলিশের এই দাবি মেনে নিতে পারছে না পরিবার ।
রতন বেপারীর স্ত্রী যমুনা রানী বেপারী বলেন, ‘গত ৯ জানুয়ারি ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। তিনি ব্যবসার প্রয়োজনে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে লেনদেন করতেন। গতকাল বিকেলেও আমি এবং আমার ছেলের সাথে ফোনে কথা হয়েছে। আমি বুঝে উঠতে পারছি না কেন তিনি গলায় দড়ি দিতে যাবেন।’ তার সন্দেহ যে তার স্বামী খুন করা হয়েছে । গ্রাম চৌকিদার দীপেন সরকার বলেন, ‘সকাল ৯টার দিকে খবর পেয়ে গঠনাস্থলে গিয়ে দেখি আম গাছের সাথে রতন বেপারীর ঝুলন্ত লাশ। দেখার সাথে সাথে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ থানায় নিয়ে গেছে।’
ইউপি সদস্য মনোজ কুমার ঢালী বলেন, ‘রতন বেপারী গ্রামে থেকে হোগলা পাতার ব্যবসা করতেন। সেই সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় মাল ডেলিভারি দিতেন এবং টাকা পয়সা লেনদেনের জন্য বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতেন। শুনেছি গত সপ্তাহে টাকা আদায় করার জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন। এখন শুনি এলাকায় গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে।’নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমিন বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।।