এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেহেরান,১৭ জুলাই : মাস দশেক আগে,২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মাহসা আমিনি নামের এক কুর্দি তরুণীকে হিজাব ঠিকমত না পরার কারনে পিটিয়ে মেরেছিল ইরানের নৈতিকতা পুলিশ । তারপর থেকে গোটা দেশ জুড়ে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে । মহিলারা প্রকাশ্যে নিজেদের হিজাব খুলে পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানায় । এযাবৎ পাঁচ শতাধিক বিক্ষোভকারীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে কট্টর মৌলবাদী ওই দেশটি । ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ এখনো কারাবন্দী । সময়ের সাথে সাথে সেই বিক্ষোভের আগুন কিছুটা প্রশমিত হতেই ফের হিজাব নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করতে চলেছে ইরান ।
রবিবার ইরানের নৈতিকতা পুলিশের মুখপাত্র জেনারেল সাঈদ মোন্তাজের আলমেহদি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,নৈতিকতা পুলিশ ফের দেশজুড়ে টহলদারি শুরু করবে । যেসব মহিলা হিজাব পরবে না তাদের আটক করা হবে ।
ইরানে ইসলামি শরিয়া শাসন চলে । সেই অনুযায়ী মহিলাদের প্রকাশ্যে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক । কেউ হিজাব রীতি লঙ্ঘন করেছে কিনা দেখতে গঠন করা হয়েছে নৈতিকতা পুলিশ । তারা দেশ জুড়ে রীতিমতো টহলদারি চালিয়ে কোনো মহিলা বিনা হিজাবে ঘোরাঘুরি করছে কিনা নজর রাখে । কিন্তু মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানি মহিলাদের আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে নৈতিকতা পুলিশ বিভাগকে বিলুপ্ত করার খবর পরিকল্পিত ভাবে রটিয়ে দেয় ইরানের ক্ষমতাসীন শাসকদল । গত ডিসেম্বরে বিলুপ্তির খবর রটিয়ে দিয়ে নৈতিকতা পুলিশের টহলদারি সাময়িকভাবে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল । এদিকে বিশেষ করে রাজধানী তেহরানে ইরানি মহিলাদের মধ্যে হিজাব না পরার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় । এই দেখে ফের নৈতিকতা পুলিশকে সক্রিয় করতে চলেছে ইরানের শাসক ।।