এইদিন ওয়েবডেস্ক,বৈরুত,২২ অক্টোবর : লেবাননের সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুল্লাহর সেকেন্ড-ইন- কমান্ড তথা ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল নাঈম কাসিম লেবানন থেকে ইরানে পালিয়ে গেছেন । লেবাননে ইসরায়েলের হামলার সময় তিনি প্রধান লক্ষ্যবস্তু ছিলেন এবং এই ভয়ে তিনি পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক ইরাম নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান সরকার নিজেই তাকে দেশ থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে। ৫ অক্টোবর কাসিম বৈরুত ত্যাগ করেন। লেবানন ও সিরিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফরে ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি যে বিমানটি ব্যবহার করেছিলেন তাতে চড়েই পালিয়েছে ওই সন্ত্রাসবাদী ।
ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের রকেট হামলার মাধ্যমে শুরু হওয়া যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৪২,৫০৬ ফিলিস্তিনি এবং ১,৭০৬ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে । তাদের সিংহভাগই হামাসের সন্ত্রাসী । ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামাস ও হিজবুল্লাহর অনেক কুখ্যাত কমান্ডারকে হত্যা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার ।
নাঈম কাসিম ৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে হিজবুল্লাহ গঠনের পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। দলের আদর্শিক ও রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা গঠনে তার হাত রয়েছে। হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে তিনি সামরিক অভিযান থেকে রাজনৈতিক কৌশল এবং সামাজিক পরিষেবা পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত ছিলেন । ১৯৯২ সালে, হিজবুল্লাহ প্রথমবারের মতো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল এবং তারপরেও তিনি প্রচারণার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
কাসিম মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা প্রভাবের ঘোর বিরোধী। তিনি হিজবুল্লাহকে পশ্চিমা ‘প্রোপাগান্ডা’র বিরুদ্ধে ‘বৈধ প্রতিরোধ’ হিসেবে বর্ণনা করেন। লেবাননের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এটি প্রয়োজনীয় বলে যুক্তি দেন । তার বই ‘হিজবুল্লাহ: দ্য স্টোরি ফ্রম উইদিন’ লেবানন এবং অঞ্চলের জন্য সংগঠনের আদর্শিক ভিত্তি এবং দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে।
নাসরাল্লাহকে হত্যার পর তার প্রকাশ্যে ভূমিকা বেড়েছে। তিনি তিনটি ভাষণও দেন। একটি বৈরুত থেকে, বাকি দুটি তেহরান থেকে । হাসান নাসরাল্লাহর মৃত্যুর পর শেখ নাঈম কাসিম বলেছিলেন ইসলামী প্রতিরোধের কার্যক্রম আগের চেয়ে ভালোভাবে চলতে থাকবে।।