এইদিন ওয়েবডেস্ক,সিওল(দক্ষিণ কোরিয়া),১৮ জুলাই : সোমবার নবম দিনের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় ভারী বর্ষণ হয়েছে । ভূমিধস, বাড়িঘর এবং জলবন্দি যানবাহনে আটকে থাকা লোকদের সন্ধানে এখনও কঠিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা । গত ৯ জুলাই থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে । এযাবৎ ৪০ জনের মৃত্যু, ৩৪ জন আহত এবং ১০,০০০ জনেরও বেশি লোককে তাদের বাড়িঘর থেকে সরে যেতে হয়েছে । সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ।
শনিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহর চেওংজুতে একটি ট্যানেলের মধ্যে একটি বাস সহ প্রায় ১৫ টি যানবাহন আকস্মিক বন্যায় আটকা পড়েছিল । সেখানে প্রায় ৯০০ উদ্ধারকর্মী মোতায়েন করা হয় । এখনও পর্যন্ত ১৩ টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে এবং ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে । বন্যার জলে নিমজ্জিত গাড়িতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিল তা স্পষ্ট নয় । সোমবার বিকেল নাগাদ উদ্ধারকারীরা টানেল থেকে বেশিরভাগ জল পাম্প করে বের করে দেয় এবং তারা পায়ে হেঁটে সাইটটি অনুসন্ধান করে । মৃতদেহ সরানোর জন্য রাবার বোট ব্যবহার করা হয় ।
কাউন্টি অফিস বলেছে, শত শত জরুরী কর্মী, সৈন্য এবং পুলিশ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর ইয়েচিওনে জীবিত লোকদের সন্ধান করছে, যেখানে ভূমিধসের কারণে বাড়িঘর এবং রাস্তা আটকে যাওয়ার পরে কমপক্ষে ৯ জন মারা গেছে এবং ৮ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে । কাদার মধ্যে মৃতদেহ অনুসন্ধানের জন্য পুলিশ কুকুর ব্যবহার করা হচ্ছে ।
দক্ষিণ কোরিয়ায় ভারী বর্ষণের জেরে দেশ জুড়ে প্রায় ২০০ টি বাড়ি এবং প্রায় ১৫০ টি সড়কপথ বিধ্বস্ত হয়েছে । ২৮,৬০৭ টি পরিবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তা মন্ত্রক।
দক্ষিণ কোরিয়ার আবহাওয়া দপ্তর দেশের বড় অংশ জুড়ে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে । দেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রতি ঘন্টায় ৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে । অফিস জানিয়েছে, মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে মঙ্গলবার পর্যন্ত অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে ২০ সেন্টিমিটার (৭.৯ ইঞ্চি) । এদিকে ইউরোপ ও ইউক্রেন সফর থেকে ফিরে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল জরুরি সরকারি বৈঠক করেন। তিনি ত্রাণ প্রচেষ্টায় আরও আর্থিক ও লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করতে সহায়তা করার জন্য বিশেষ দুর্যোগ অঞ্চল হিসাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলিকে মনোনীত করার জন্য কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান । ইউন পরে ইয়েচিওন পরিদর্শন করেন যেখানে তাকে অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টা সম্পর্কে অবহিত করা হয় ।।