প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০১ মার্চ : পুরোহিত ভাতা পাওয়া ব্রাক্ষ্মণদের সঙ্গে বৈঠক কারার সময়ে খান সাহেব জেনেছিলেন দেবাদিদেব মহাদেবের মাহাত্ম্যের কথা । পুজারী ব্রাহ্মণদের কাছে তিনি এও জেনেছিলেন যে মহাশিবরাত্রি হল হল হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ আরাধ্য দেবাদিদেব মহাদেব শিবের মহা রাত্রি।তার পরেই পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান ঠিক করে নেন এই বছরের শিবরাত্রির দিনে তিনি দেবাদিদেব শিবের মন্দিরে গিয়ে পুজো দেবেন ।সেই মত মঙ্গলবার সাত সকালে স্নান সেরে সুদ্ধ বস্ত্রে তিনি সোজা চলে যান জামালপুর ব্লকের জৌগ্রামে থাকা সুপ্রাচীন জলেশ্বর শিব মন্দিরে । মন্দিরের পুজারি ব্রাহ্মনের করা মন্ত্রোচ্চারণ শুনে নিজের মুখে তা বলে খান সাহেব শিবের কাছে পূজার্ঘ্য নিবেদন করেন । হাতজোড় করে দেবাদিদেবকে প্রণাম জানিয়ে তিনি আশীর্বাদ প্রার্থনাও করলেন। মুসলিম পরিবারের সন্তান মেহেমুদ খানের এমন শিব ভক্তি দেখে এদিন জলেশ্বর মন্দির চত্ত্বরে থাকা অনেক শিব ভক্তও থমকে দাঁড়িয়ে যান ।
হঠাৎ করে দেবাদিদেব শিবের দ্বারস্থ হওয়ার
কি কারণ তার ব্যক্ষা দিতে কোন কুণ্ঠা বোধ করেন নি মেহেমুদ খান।তিনি বলেন ,এই জগৎ
চালাচ্ছেন উপরওয়ালা।কেউ তাকে বলেন আল্লা ।আবার কেউ বলেন ঈশ্বর । তাঁর করুণা ছাড়া এই জগৎতে কোন কিছুই সম্ভব নয় ।
মেহেমুদ খান জানান,রাজ্য সরকারের পুরোহিত ভাতা পাওয়া জামালপুরের ব্রাহ্মদের সঙ্গে একদিন তিনি একটি বৈঠকে বসেছিলেন । তখন এক প্রবীন ব্রাহ্মণ পুজারির কাছে হিন্দু ধর্মের সর্বশক্তিমান দেবতা শিবের মাহাত্মের কথা তিনি শুনে ছিলেন । তর পরেই দেবতা শিবের চরণে পুজো দেওয়ার ব্যপারে মনস্থির করেন । সেই মতই শিবরাত্রির এই দিনে তিনি জলেশ্বর শিব মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে দেবতার আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছেন বলে জানান।পাশাপাশি মেহেমুদ খান এও বলেন ,বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারে এই বাংলার সর্ব ধর্ম সম্প্রীতির ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেন। সম্প্রীতি বজায় রাখতে মুখ্যমন্ত্রীও সকলকে এক হয়ে থাকার বার্তা দেন।তাঁরই দলের একজন সেনাপতি হয়ে তিনিও মনে করেন সব ধর্মকে শ্রদ্ধা জানানোটাই প্রকৃত ধার্মিকের কাজ। সেই বিশ্বাস ও ভক্তিতে ভর করেই এদিন জলেশ্বর শিব মন্দিরে পৌছে ভক্তি ভরেই পুজো দিয়েছেন বলে খান সাহেব জানিয়ে দেন ।।