এইদিন ওয়েবডেস্ক,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),০৩ আগস্ট : বিতর্ক ও তৃণমূল নেতা কার্যত সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে ! এতদিন বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া, বালি-গরু-কয়লা পাচারের কথা শোনা গেলেও পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে শাসকদলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা এক নেতার কীর্তি সেসব কিছুকে ছাপিয়ে গেছে । স্থানীয় বাসিন্দারা এখন প্রশ্ন তুলছেন, মহিলাদের কি ভাবে এক শ্রেণীর তৃণমূল নেতারা ?
আসলে,ওই নেতার ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে । ভিডিওতে দেখা গেছে একটি ঘরে সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে শুয়ে আছে ওই তৃণমূল নেতা । শুয়ে শুয়ে হস্তমৈথুন করতে করতে নিজেই তার ভিডিও রেকর্ড করছে । যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এইদিন । তবে যেটা জানা যাচ্ছে যে ওই অশ্লীল ভিডিও কোনো এক মহিলার ফোনে পাঠিয়ে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল গুনধর নেতা । এদিকে মহিলা তার এই প্রকার নোংরা, কদর্য প্রস্তাব মেনে নিতে না পেরে তৃণমূলেরই পরিচিত কাউকে ভিডিওটি শেয়ার করে ঘটনার কথা জানান । তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায় । তবে লোকলজ্জার ভয়ে মহিলা এখনও এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি বলে জানা গেছে ।
এদিকে ভিডিওটি ভাইরাল হতেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে গেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব । রাজনৈতিক মহলের খবর আউশগ্রামের ওই তৃণমূল নেতার ভিডিওর বিষয়টি জেলা নেতৃত্বের কানে পৌঁছে গেছে৷ তবে কেউ ঘটনার সত্যতা নিয়ে খোলসা করেননি । আউশগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার ‘বিষয়টি জানা নেই’ বলে এড়িয়ে গেছেন । অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য এসসিএসটি সেলের চেয়ারম্যান দেবু টুডু বলেছেন, বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। আমাদের দলের মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি আছে। যদি কেউ আপত্তিকর বা অপরাধমূলক আচরণ করে থাকেন প্রয়োজনে কমিটিতে আলোচনা করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তবে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক কর্মীর কথায়,”যেটা জানতে পেরেছি যে ওই নেতা নিজের এইধরনের নগ্ন ভিডিও বা ছবি পরিচিত মহিলাদের কাছে পাঠিয়ে কুপ্রস্তাব দেন । ওর এই ধরনের বিকৃত রুচির পরিচয় আগেও পাওয়া গিয়েছে।’
প্রসঙ্গত,আউশগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূলে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন অভিযুক্ত নেতা । বছর তিনেক আগে তাকে সেই পদে বসানো হয় । তার আগে আউশগ্রাম এলাকার একটি পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের দায়িত্বে ছিল ওই নেতা । বছর ছয়েক আগেও তাকে নিয়ে একাধিক বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় তাঁকে সাময়িক দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল । তারপর দলের তৎকালীন ব্লক তৃণমূল সভাপতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জোরে আবারও দলে ফিরে আসেন এবং গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়ে যান ।
জানা গেছে,বর্তমানে আলোচনায় নামে থাকা ওই নোংরা ভিডিওটি দিন দশেক আগেই দলের জেলা নেতাদের নজরে আসে । এরপর তাঁকে ভৎর্সনা করে গুসকরায় দলীয় কার্যালয়ে ঢুকতে নিষেধ করে দেন বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার । কিন্তু এযাবৎ ওই গুনধর নেতার বিরুদ্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি দল। আজ ভিডিওটি ভাইরাল হলে বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে গেছে শাসকদলের জেলার নেতারা ।।