এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৮ আগস্ট : ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচন । হাতে গোনা আর ৭-৮ মাস পরেই ভোট হবে বলে আশা করা হচ্ছে । রাজ্যের শাসক-বিরোধী কোনো দলই এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে ভোটের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েনি । তবে বিজ্ঞাপনে শুরু হয়ে গেছে ভোটযুদ্ধ । দিন কয়েক ধরে গুগুলে কোনো সাইট খুলতেই নজরে পড়ছে লাল-কালো কালির ওই বিজ্ঞাপনগুলি । কোথায় নীল-সাদা হাওয়াই চটির কবর দেওয়ার ছবিতে ২৬শে এরাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দেওয়া হয়েছে । কোথাও অপারেশন এসআইএন-এর প্রতি বিরোধ প্রদর্শন করা হয়েছে । তবে অপারেশন এসআইএন বলতে ‘অপারেশন সিঁদুর’কে বোঝানো হয়েছে নাকি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)-এর বিরোধিতা করা হচ্ছে তা স্পষ্ট নয় ।
তার মধ্যে একটা বিজ্ঞাপনে কবরে গাঁথা নেমপ্লেটে লেখা হয়েছে “RIP উন্নয়ন”। সাধারণত মৃতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ওই শব্দ প্রয়োগ করা হয় । কবরের বাঁধানো বেদিতে রাখা নীল-সাদা হাওয়াই চটি । একপাশে রাখা একটা বেলচা । বিজ্ঞাপনের বাম পাশের উপরে কালো চক্রের মধ্যে সাদা অক্ষরে লেখা “সইবে না আর বাংলা” । বিজ্ঞাপনের নিচে লেখা হয়েছে : “উন্নয়নে অকাল মৃত্যু, সইবে না আর বাংলা, ২৬-এই পরিবর্তনের শপথ নিন” ।
অন্য একটা বিজ্ঞাপনে সাদা নীল পাড়ের শাড়ি ও বাম হাতে ঘড়ি পড়া এক মহিলাকে “OPERATION SIN ধুররর…!” লেখা পোস্টার ছিঁড়তে দেখা গেছে । তার নিচে কাল চক্রের মধ্যে সাদা অক্ষরে লেখা হয়েছে “সইবে না আর বাংলা” । একেবারে নিচে লাল ব্যাকগ্রাউন্ডের মধ্যে সাদা হরফে লেখা হয়েছে : “দেশ বিরোধিতার নোংরা খেলা,সইবে না আর বাংলা, ২৬-এই পরিবর্তনের শপথ নিন” ।
পাশাপাশি নীল ও সাদা রংয়ের হাওয়াই চটি পরা এক মহিলার পা দিয়ে প্রতিবাদী জনতাকে পিষে দিতে দেখা যাচ্ছে একটি বিজ্ঞাপনে । যেখানে লেখা হয়েছে : “গণতন্ত্রের শ্বাসরোধ সইবে না আর বাংলা, ২৬-এই পরিবর্তনের শপথ নিন” । অন্য একটা বিজ্ঞাপনে দু’পাশে নীল ও সাদা রংয়ের হাওয়াই চটি এবং মাঝখানে লেখা “চপশ্রী” । নিচে লেখা হয়েছে : “চাকরির নামে ঢপের চপ হইবে না আর বাংলা, ২৬-এই পরিবর্তনের শপথ নিন” । বিজ্ঞাপনের ডান দিকে লেখা “বিএ পাস” ও “এমএ পাস” । তবে কোন রাজনৈতিক দলের নাম বিজ্ঞাপনগুলিতে দেওয়া হয়নি । সাধারণত বামপন্থীরা তাদের দলীয় প্রচার লাল কালো রং ব্যবহার করে থাকে । কিন্তু এই বিজ্ঞাপনগুলি বিপুল টাকা খরচা করে কোন রাজনৈতিক দল দিচ্ছে তা এখনো স্পষ্ট নয় । তবে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার ঢের বাকি এখনো । তারই মধ্যে বিজ্ঞাপনের ভোটযুদ্ধ মোটামুটি জমে উঠেছে ।।