এইদিন ওয়েবডেস্ক,ওয়াশিংটন,০২ এপ্রিল : তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের সাথে যৌন সম্পর্ক করা পাপ নয় । একজন পুরুষের ৪ টি স্ত্রী এবং একাধিক যৌনদাসী রাখা ও তাদের সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলার অনুমতি দিয়েছে ইসলাম । স্ত্রীরা যদি শরিয়া নিয়ম ও মূল্যবোধ লঙ্ঘন করে তাদের তাদের শাসন করার জন্য মারধরেরও অনুমতি দিয়েছে ইসলাম । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মিশর অভিবাসী দম্পতি ড্যানিয়েল হকিকাতজু (Daniel Haqiqatjou) ও উম্মে খালিদ(Umm Khalid) ইসলামিক শিক্ষা সম্পর্কিত ভিডিও তৈরি করে এই সমস্ত প্রচার শুরু করে দিয়েছেন ।
সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তালিবানের কট্টর সমর্থক ড্যানিয়েল হকিকাতজুর একটি ভিডিও নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করে সাংবাদিক অ্যামি মেক (Amy Mek) লিখেছেন,’মিডিয়া ব্ল্যাকআউট ! মার্কিন ‘ইসলামিক স্কলার’ ধর্মগুরু ড্যানিয়েল হকিকতজু বলেছেন যে একজন পুরুষের জন্য ৩ বছরের বা তার চেয়ে কম বয়সী শিশুর সাথে যৌন সম্পর্ক করা ঠিক! ড্যানিয়েল এবং তার কট্টরপন্থী স্ত্রী উম্মে খালিদ আমেরিকার প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের শুধুমাত্র উগ্রপন্থীই করছেন না, ছোট বাচ্চাদেরও লক্ষ্যবস্তু ও যৌন শোষণে উৎসাহিত করছেন । জিহাদি দম্পতি শরিয়া-অনুসারী আলাসনা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা শিশুদের জন্য একটি অনলাইন “হোমস্কুলিং প্রোগ্রাম” এবং মুসলিম প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য “শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম” প্রদান করে । এই ইসলামি আধিপত্যবাদী দম্পতি আমেরিকায় মুসলমানদের শিক্ষা দিচ্ছেন এবং তাদের শরিয়া অনুযায়ী জীবনযাপন করতে শেখাচ্ছেন ।’ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন,’মার্কিন কর্তৃপক্ষ কি ড্যানিয়েল এবং তার স্ত্রীর হুমকিকে উপেক্ষা করছে এই উদ্বেগের কারণে যে তদন্তের ফলে ‘ইসলামোফোবিয়ার’ অভিযোগ উঠতে পারে ?’
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী,ড্যানিয়েল হকিকাতজু ও তার স্ত্রী উম্মে খালিদ শরিয়া আইনের প্রচার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মুসলমানদের উগ্রপন্থী কার্যকলাপকে উৎসাহিত করার কাজ করা যাচ্ছেন বলে অভিযোগ । দম্পতি দাবি করেছে, ইসলামি শরিয়া আইন অনুযায়ী একজন পুরুষ চারটি মহিলাকে বিয়ে করতে পারে এবং যত ইচ্ছা যৌনদাসী রাখতে পারে । ক্রীত দাসদের জন্য শরীয়াহ শাসন সব থেকে মানবিক, কারণ ইসলাম তাদের অনেক অধিকার দিয়েছে । তাদের বিকৃত করা যাবে না, তাদের হত্যা করা যাবে না, তাদের মালিক মারা গেলে তারা মুক্ত হতে পারে এবং আরও অনেক কিছু অধিকার দিয়েছে ।’
ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা নবীর দেখানো পথে চলতে উৎসাহিত করে ওই দম্পতি বলেছেন,’তিনি একজন দাসেদের মালিক এবং ব্যবসায়ী ছিলেন । যুদ্ধে তিনি ক্রীতদাসদের বন্দী করেছিলেন এবং তিনি তার ক্রীতদাসদের সাথে যৌন সম্পর্ক করেতেন । এমনকি তিনি তার লোকদের একই কাজ করার জন্য নির্দেশ দিতেন । মুসলিম পুরুষরা জানে যে তারা নারীদের যৌনদাসী হিসেবে রাখতে পারে, কারন কোরানের আয়াতে তাদের সেই অধিকার দেওয়া আছে ।’
উম খালিদ মুসলিম মহিলাদেরকে তাদের স্বামীদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন । তিনি মুসলিম মহিলাদের প্রতি তিনি অনুরোধ করেন যে বহুবিবাহ করা তাদের ইসলামী কর্তব্য । তার কথায়,’ইসলাম একজন পুরুষকে একাধিক স্ত্রী রাখার অনুমতি দিয়েছে। সুতরাং, একজন মুসলিম পুরুষ একসাথে চারটি নারীকে বিয়ে করতে পারে এবং অনির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রীতদাসের সাথেও যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে। ইসলামের নবী মুহাম্মদের সময়ে একজন পুরুষের এগারোজন স্ত্রী থাকতো ।’ এমনকি একজন পুরুষের স্ত্রী সহ তার পরিবারের মহিলা সদস্যদের শারীরিকভাবে শাসন করার ক্ষমতা আছে যদি তারা শরিয়া নিয়ম ও মূল্যবোধ লঙ্ঘন করে বলে জানিয়েছেন ইসলামি কট্টরপন্থী ওই দম্পতি ।
সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তালিবানের কট্টর সমর্থক ওই দম্পতি বলেন,’আল্লাহ তাদের(তালিবান) আশীর্বাদ করুন এবং অবিরাম বিজয় দান করুন । তারা (তালিবান) এই পৃথিবীতে আল্লাহর শরীয়ত প্রতিষ্ঠা করেছে, কিন্তু কাফের এবং মুনাফিকরা এটিকে ঘৃণা করে । আপনারা(তালিবান) উম্মাহকে গর্বিত করেছেন ।’
প্রতিবেদন অনুযায়ী,হকিকতজউ টেক্সাসের হিউস্টনে জন্মগ্রহণ করেন, হার্ভার্ডে পড়াশোনা করেন । হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে থাকাকালীন তিনি পদার্থবিদ্যায় এবং দর্শন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন । বর্তমানে তিনি ইসলামি পন্ডিত হিসাবে বিশ্বের মুসলিমদের মধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন । অন্যদিকে হকিকতজু-এর স্ত্রী উম খালিদ, মিশরে বড় হয়েছেন । সেখানে বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা এবং পরে স্নাতক হন । পরে তার পরিবার আমেরিকায় চলে আসে, যেখানে তিনি নিউ জার্সির পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেন । কট্টর ইসলামি মানসিকতা সম্পন্ন এই দম্পতি দীর্ঘদিন ধরেই সমাজে ঘৃণা ছড়ানোর কাজ করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠছে ।।