এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),৩০ জুলাই : প্রেমে ব্যর্থ হয়ে বাড়িতে ঢুকে তরুনীকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপালো প্রতিবেশী যুবক । তরুনীর বাবা মেয়েকে বাঁচাতে গেলে তাকেও কোপানো হয় বলে অভিযোগ । শেষে নিজের পেটে ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে হামলাকারী । চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভোরের দিকে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার গোহগ্রামে । নাজমা খাতুন (২৫) তার বাবা মিরাজ আলী চৌধুরী এবং অভিযুক্ত যুবক ফিরোজ খান বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জখম তরুনীর মা হাসনা বিবি মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
পরিবার সূত্রে খবর,মঙ্গলকোট থানার গোহগ্রামের একই পাড়ায় বাড়ি নাজমা খাতুন ও ফিরোজ খানের । মিরাজ আলী চৌধুরী ও হাসনা বিবির মেয়ে নাজমা খাতুনকে ষষ্ঠ শ্রেনী থেকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত গৃহ শিক্ষক হিসাবে পড়িয়েছিলেন ফিরোজ । সেই সময় মেয়েটিকে সে ভালোবেসে ফেলে । হাসনা বিবির অভিযোগ, ফিরোজ তার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরেই উত্ত্যক্ত করত করে আসছিল । সে নাজমাকে বার বার বিয়ের প্রস্তাব দিত । কিন্তু তারা সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন । ইতিমধ্যে ভাতার থানা এলাকায় কালিটিকুরি গ্রামের বাসিন্দা সম্রাট মোল্লা নামে এক যুবকের সঙ্গে নাজমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেন তারা ৷ গত মার্চ মাসে মেয়ের রেজিস্ট্রি ম্যারেজও হয়ে যায় । সেই কথা জানতে পেরেই ফিরোজ আক্রোশে এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ হাসনা বিবির ।
জানা গেছে,আজ সাতসকালেই নাজমাদের বাড়িতে পৌঁছে যায় ফিরোজ খান । সেই সময় বাবা ও মায়ের সঙ্গে বসে চা পান করছিলেন নাজমা । কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগে ফিরোজ তার সাথে আনা একটা ধারাল ছুরি বের করে নাজমাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে । মিরাজ আলী চৌধুরী মেয়েকে বাঁচাতে গেলে তাকেও কোপায় সে । এদিকে রক্তাক্তবস্থায় ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন নাজমা । নাজমা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সে মরে গেছে মনে করে নিজের পেটে ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ফিরোজ । পরে তিনজনকে প্রথমে মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখান থেকে তাদের বর্ধমানে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয় । সাতসকালেই এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় ।।